জুলাই সনদ ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন : এনসিপি

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৩ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এনসিপি।

এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটি ‘সংসদ নির্বাচন’ বিষয়ে দলটিকে আস্থায় আনতে সফল হয়েছে সরকার। জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে আমরা মনে করি।

কিন্তু বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি। উপরন্তু, নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে।

এনসিপি মনে করে, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়ন, ‘জুলাই সনদ’ কার্যকর করা এবং বিচারের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ব্যতীত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন গণঅভ্যুত্থানকে স্রেফ একটি ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিণত করবে এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের জনআকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করবে।

জনগণের দাবি তথা ‘জুলাই সনদ’ রচনা ও কার্যকর করার পূর্বে নির্বাচনের কোনো তারিখ ঘোষিত হলে, তা জনগণ মেনে নেবে না। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা ও জুলাই সনদ রচনা এবং কার্যকর করেই আসন্ন জুলাইকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করার উদ্যোগ নিতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।

আরএম 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
তারেক রহমান ত্যাগী কর্মীদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন : মুন্না Jun 15, 2025
img
১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সিরিয়ার আকাশসীমা Jun 15, 2025
img
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তরে হামলা করল ইসরায়েল Jun 15, 2025
img
গল্প শুনে ভালো না লাগায় 'স্বদেশ'-এ অভিনয় করেননি আমির! Jun 15, 2025
img
সকালের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস Jun 15, 2025
img
এবার তেহরানের নিকটবর্তী তেল ডিপোতে হামলা করল ইসরায়েল Jun 15, 2025
img
'জুলাই ঘোষণাপত্রে নতুন বাংলাদেশ ২.০ পুনর্গঠনের রোডম্যাপ থাকবে' Jun 15, 2025
img
ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চাইলেন নেতানিয়াহু Jun 15, 2025
img
কেরানীগঞ্জের উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদ গ্রেফতার Jun 15, 2025
img
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন : প্রেস উইং Jun 15, 2025
img
ইসরায়েলের বন্দর নগরী হাইফাতে হামলা, আহত একাধিক Jun 15, 2025
img
ঢাকার হাজারীবাগে বাবার হাতে প্রাণ গেল ছেলের Jun 15, 2025
img
আজ বিশ্ব বাবা দিবস Jun 15, 2025
img
চীনের ভিসা-ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা পাবেন ৫৫টি দেশের নাগরিক Jun 15, 2025
img
ফের ইসরায়েলে মিসাইল নিক্ষেপ করল ইরান Jun 15, 2025
img
ইসরায়েলিদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ের কাছে থাকার নির্দেশ দিল দেশটির সেনাবাহিনী Jun 15, 2025
img
ওটিটিতে ‘এইস’, ভিন্ন ঘরানার চরিত্রে বিজয় সেতুপতি Jun 15, 2025
img
চট্টগ্রামে পিকআপ-সিএনজির সংঘর্ষে প্রাণ গেল মা-ছেলেসহ ৩ জনের Jun 15, 2025
img
দুই দেশের যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিত, বললেন ট্রাম্প Jun 15, 2025
img
এক বছরে চার রূপে সোনম, বলিউডে বিরল আত্মপ্রকাশ Jun 15, 2025