দুনিয়াজুড়ে প্লেন ক্র্যাশ মানেই মৃত্যু ও বিভীষিকার গল্প। তবে কিছু ঘটনা শুধু ভাগ্য নয়, চমকে দেয় কাকতালীয় মিলেও। এমনই এক অভূতপূর্ব কাকতালীয় ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু এখন একটি আসন সিট নম্বর ১১এ।
প্রায় ২৭ বছর আগে, ১৯৯৮ সালে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থাইল্যান্ডের সুরাট থানি বিমানবন্দরে অবতরণকালে দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১০১ জন নিহত হন। তবে বেঁচে যান জনপ্রিয় থাই অভিনেতা ও গায়ক জেমস রুয়াংসাক লইচুসাক— আর তিনি বসেছিলেন সিট ১১এ তে।
এরপর ২০২৫ সালের জুনে আবার ঘটে এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা। এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 নামের একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয় একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর। ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে যান ব্রিটিশ-ভারতীয় নাগরিক বিশ্বাশ কুমার রমেশ। আর কাকতালীয়ভাবে, তিনিও ছিলেন সিট ১১এ তে!
থাই অভিনেতা জেমস রুয়াংসাক যখন এ খবর জানতে পারেন, ফেসবুকে বিস্ময়ে লেখেন, “ভারতে এক বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি বসেছিলেন ঠিক সেই একই সিটে, যেটিতে আমি বসেছিলাম ২৭ বছর আগে। ১১এ।”
যদিও এই মিল নিছক কাকতালীয়দু টো বিমানই ছিল আলাদা মডেলের। থাই এয়ারওয়েজেরটি ছিল এয়ারবাস A310, আর এয়ার ইন্ডিয়ারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। ফলে আসনের ডিজাইন, অবস্থান, এমনকি গঠনগত দিক থেকেও রয়েছে পার্থক্য। তবে সেই পার্থক্য মুছে গেছে ‘১১এ’ সিটের এই অবিশ্বাস্য মিলের কাছে।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রীর গল্প এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল। অনেকেই বলছেন, “১১এ সিটে যেন লুকিয়ে আছে কোনো অলৌকিক সুরক্ষা!”
আসলেই, ভাগ্য কীভাবে কাজ করে তা কেউ জানে না। তবে কিছু কিছু মিল সত্যিই গায়ে কাঁটা দেওয়া গল্পে পরিণত হয়।
এসএম/টিকে