আমির খানের ‘পিকে’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৪-য়। সেই সময় অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছিল, ছবিতে নাকি ‘লাভ জিহাদ’ দেখানো হয়েছে। সুশান্ত সিংহ রাজপুত এবং আনুষ্কা শর্মা অভিনীত চরিত্র দু’টির মাধ্যমে। ছবিতে আনুষ্কা ‘জননী সাহানি’, সুশান্ত ‘সরফরাজ় ইউসুফ’। পর্দায় তাদের বিয়ে দেখানো হয়েছিল।
সামনেই মুক্তি পেতে চলেছে আমিরের নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পর’। ছবিমুক্তির প্রচারে ব্যস্ত অভিনেতা সম্প্রতি ‘লাভ জিহাদ’ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তার অনুরোধ, ছবির বিষয় নিয়ে নীতিপুলিশি বন্ধ হোক। প্রযোজক-অভিনেতার কথায়, “দুই ভিন্নধর্মীর মধ্যে প্রেম বা বিয়ে মানেই সেটি ‘লাভ জিহাদ’ নয়। সব আন্তঃধর্মীয় বিবাহকে ‘লাভ জিহাদ’ তকমা না দেওয়াই শ্রেয়।”
বক্তা যখন আমির, তখন যে কোনও বিষয় তার দৃষ্টিতে ভিন্ন ভাবে ধরা দেবেই। অভিনেতা ‘লাভ জিহাদ’কে ধর্মীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছেন। তার যুক্তি, যখন দুই ধর্মের মানুষ প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করতে চান তখন সেটি মানবিকতার অন্যতম নজির। জাতিভেদ বা ধর্মীয় সংকীর্ণতায় একে বেঁধে দেওয়া উচিত নয়। ‘পিকে’র বিষয়বস্তু সম্পর্কেও ব্যাখ্যা দেন তিনি।
আমিরের কথায়, “ছবিতে আমরা কোনও ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীকে অশ্রদ্ধা করিনি। প্রত্যেক ধর্ম এবং ধর্মাবলম্বীদের সম্মান জানিয়ে সাবধান করতে চেয়েছি তাদের। কারণ, ধর্মের জিগির তুলে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা অনেক দিন ধরে চলে আসছে। ধর্মের নামে চাঁদা নেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। ছবিতে তাদের মুখোশ খোলার চেষ্টা করা হয়েছে।”
এর পরেই নিজের পরিবারের আন্তঃধর্মীয় বিয়ের প্রসঙ্গ তোলেন আমির জানান, তার দুই বোন নিখাত এবং ফারহাতের বিয়ে হয়েছে যথাক্রমে সন্তোষ হেগড়ে এবং রাজীব দত্তের সঙ্গে। তার মেয়ে ইরা বিয়ে করেছেন নূপুর শিখরকে। তিনিও হিন্দু। প্রসঙ্গত, আমির নিজেও বিয়ে করেছিলেন দুই হিন্দু নারীকে। তারা রিনা দত্ত এবং কিরণ রাও।
কেএন/এসএন