উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজের পদত্যাগের দাবি ইশরাক সমর্থকদের

অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। আজ মঙ্গলবার নগর ভবনের সমানে থেকে এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন তারা।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই নগর ভবনের সমানে অবস্থান নেন ইশরাকের সমর্থকরা। 'আমরা ঢাকাবাসী' ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে তারা।

এর আগে গতকাল সোমবার নগর ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জরুরি সেবা চালু রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজও আন্দোলন চলছে।

ওই সংবাম সম্মেলনে ইশরাক বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বৈধ মেয়র করা হয়েছে। কিন্তু সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পরেনি। এ জন্য গতকালকে আমরা বিরতিহীনভাবে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সেবা কিন্তু বিঘ্ন হচ্ছে। আমাদের আন্দোলনের কারণে যেন জনগণের দুর্ভোগ না হয় বা কমিয়ে আনা যায়, সে জন্য জরুরি সেবা অব্যাহত থাকবে। আমরা আজকে থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করছি।এ বৈঠক অব্যাহত থাকবে।’

ইশরাক বলেন, ‘ঈদের মধ্যে নিরলস পরিশ্রম করে মাঠে কাজ করেছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। তারা ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন করেছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মশকনিধন যেন ঠিকঠাক হয়, এ জন্য আমরা দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। আগামীকাল ৭০টির বেশি ওয়ার্ড সচিবের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। কিন্তু আন্দোলন চলমান থাকবে।’

এদিন নগর ভবনে একটি সভায় অংশ নেন ইশরাক হোসেন। সেখানে তাকে প্রধান অতিথি রাখা হয়। ওই সভার ব্যানারে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গেজেটের মেয়াদ এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দেওয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে ক্ষমতা প্রদর্শন করে নগর ভবন দখল করে দক্ষিণ ঢাকার দৈনন্দিন নাগরিক সেবায় বিঘ্ন ঘটানো দায়িত্বহীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর।’

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ Dec 15, 2025
img
পুলিশের পোশাকে জামায়াত প্রার্থীর পথসভায় বক্তব্য দেওয়ায় এএসআই বরখাস্ত Dec 15, 2025
img
ডিসেম্বরের ১৩ দিনেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি দেশের ১০ ব্যাংকে Dec 15, 2025
img
কলম্বিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল অন্তত ১৭ জনের, আহত ২০ Dec 15, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন আজকের বাজারদর Dec 15, 2025
img
৩ দাবিতে আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা ডাকসুর Dec 15, 2025
img
রাজধানী ঢাকায় কমবে দিনের তাপমাত্রা Dec 15, 2025
img
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি, কমেছে দাম Dec 15, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ায় বন্দুক হামলার ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৬ Dec 15, 2025
img

চানখারপুলে ছয় হত্যা

হাবিবুর রহমানসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু আজ Dec 15, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার Dec 15, 2025
img
এমবাপে ও রদ্রিগোর গোলে আলাভেসের বিপক্ষে স্বস্তির জয় রিয়াল মাদ্রিদের Dec 15, 2025
img
এলাকার উন্নয়নে ঐক্যের আহ্বান হাবিবুর রশিদ হাবিবের Dec 15, 2025
img
শব্দদূষণকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে: রিজওয়ানা হাসান Dec 15, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

হলান্ডের জোড়া গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে বড় ব্যবধানেই হারাল ম্যানচেস্টার সিটি Dec 15, 2025
img
আজ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হবে সিঙ্গাপুর Dec 15, 2025
img
১৫ ডিসেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা Dec 15, 2025
img

বুন্ডেসলিগা

টেবিলের তলানির দলের বিপক্ষে কোনোমতে হার এড়াল বায়ার্ন মিউনিখ Dec 15, 2025
img
ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রবাসীদের দেশ গড়ায় অবদান রাখার আহ্বান Dec 15, 2025
img
সিডনির ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন মুসলিম ফল ব্যবসায়ী Dec 15, 2025