সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় দিনভর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিদের ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌযোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন।
এর আগে, ভোর থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দুপুর গড়িয়ে বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বর্তমানে আকাশ ঘন মেঘে ঢাকা এবং সমুদ্রের পানি উত্তাল। এদিকে নৌযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নোয়াখালী থেকে লোকজন হাতিয়ায় যেতে পারছেন না এবং হাতিয়া থেকে কেউ নোয়াখালীতে আসতে পারছেন না।
হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. ইউসুফ রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল থেকেই মেঘনা নদীতে সাগরের মতো ঢেউ ওঠে এবং একইসঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। দোকানপাটে মানুষ নেই। বেশির ভাগ মানুষ ঘরে বসে আছে, কাজে যেতে পারছে না। ৩ নম্বর সংকেত দেওয়া হলেও মানুষের মাঝে সচেতনতা নেই।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হাতিয়ার সঙ্গে নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের ট্রলার ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় বজ্রমেঘ ও বায়ুচাপের তারতম্য দেখা দিয়েছে। এর ফলে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছে থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী সব ট্রলার বা নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। হাতিয়া উপজেলা বর্তমানে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় রয়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। সতর্কতা হিসেবে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসন সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পিএ/টিএ