লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন , এই বাজেটটা আমাদের যথেষ্ট সন্তুষ্ট করতে পারেনি। যে স্পিরিটটা আমরা বাজেটে দেখতে চেয়েছি, সেটা দেখিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাজেট সংলাপ ২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।
থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, এই বাজেটে তারা বলছে তারা থ্রি জিরো বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এটার জন্য আমরা গণঅভ্যুত্থান করি নাই। আমরা চেয়েছি ভিন্ন ধরনের... বাজেটের নামে যে লুটপাটতন্ত্রকে অবৈধ, এটা পেলেই যথেষ্ট। আর তার তত্ত্ব (থ্রি জিরো) সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য আলাদা। সেটা আমরা আলাদা করব। এটা একটা ব্যক্তির স্বপ্ন আমরা, এটার প্রশংসা করি। কিন্তু আমাদের কথা তার এই তত্ত্ব বাজেট প্রস্তাবনায় কেন? আন্তর্জাতিকভাবে এটার খ্যাতি থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশে এই তত্ত্ব সঠিকভাবে নেই; এটা নিয়ে আলোচনার অধিকার আমাদের আছে। তাকে অসম্মান করার জন্য বলছি না, তবে এটা যদি বাজেটে ঢোকান তাহলে তিনি অসম্মানিত হবে।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন , এ সরকার নির্বাচিত সরকার, তবে অন্তর্বর্তী বটে। আমাদের লুটেরা-মাফিয়াতন্ত্রওয়ালারা বলে এটা অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারকে আমরা মেনে নিয়েছি কেন… যেহেতু আমরা মনে করি জনগণ তাদের এটা দিয়েছে। কাজেই এ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি।
গণঅভ্যুত্থানের পরে কালো টাকা সাদা হয় কোন যুক্তিতে– প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন , লুটপাটতন্ত্রের সবচেয়ে দৃশ্যমান বিষয় হলো কালো টাকা সাদা করা। অবশ্যই এটাকে সংশোধন করতে হবে। কালো টাকা এখন সাদা হয় কোন যুক্তি? গণঅভ্যুত্থানের পরে এটা করার কোনো যুক্তি নেই।
ফরহাদ মজহার বলেন , বাজেটে সেনাবাহিনীর জন্য আমরা কীভাবে খরচ করি তার কোনো স্পষ্ট উল্লেখ নাই। এটা হতে পারে না। আমাদের এদিকে মিয়ানমার, ওদিকে ভারত। তার মধ্যে যদি আমরা টিকে থাকতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাকে জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আর তা করতে হলে এর জন্য খরচ আছে। এটা একটা ন্যায্য খরচ। সেই খরচ আমি কোথা থেকে তুলব, কে দেবে? এটা থাকতে হবে যে টাকাটা কোথায় খরচ হচ্ছে? বাজেটে খরচ কোথায় হচ্ছে, এটা লুকিয়ে রাখা একটি খারাপ লক্ষণ।
তিনি বলেন , ৮ তারিখে (গত বছরের ৮ আগস্ট) যে সরকার গঠন করলেন , লুটপাটতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্যই কিন্তু আপনি এ সরকার করেছেন। এ সরকারের আসলে কোনো ক্ষমতা নেই। এখনো যে টিকে আছে এটা বিরাট ব্যাপার।
কেএন/এসএন