১২ জুন লণ্ডনে আকস্মিক মৃত্যু ঘটেছে করিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের। তারপর তাঁর শেষকৃত্য এদেশে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে চলেছে বহু টানাপড়েন। নাগরিকত্ব থাকার ফলে বেশকিছু আইনি জটিলতার কারণে দেশে সঞ্জয়ের দেহ ফ্রানো নিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে সঞ্জয়ের পরিবারকে। ফলে ছ’দিন পিছিয়ে গিয়েছে সঞ্জয়ের শেষকৃত্য। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। দেশে ফিরছে সঞ্জয়ের মরদেহ। দিল্লিতে পরিবার পরিজনের উপস্থিতিতে হবে তাঁর শেষকৃত্য।
সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ লোধি রোডের শ্মশান ঘাটে সম্পন্ন হবে সঞ্জয়ের শেষকৃত্য। অন্যদিকে আগামী ২২ জুন দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত হবে সঞ্জয়ের স্মৃতিতে একটি স্মরণসভা। সেই বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে সঞ্জয়ের মায়ের নাম। এছাড়াও রয়েছে তাঁর বর্তমান স্ত্রী প্রিয়া ও সঞ্জয়ের সন্তানদের নামও। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, সঞ্জয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পরিবারের হাতে এসে পৌঁছায়নি। সঞ্জয়ের দেহ দেশে ফেরার পর ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই সঞ্জয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
অন্যদিকে প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যুর পর প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছেন করিশ্মা কাপুর। এই ঘটনার পর প্রথমবার বৃহস্পতিবার দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইয়ের বিমানবন্দরে দেখা মিলেছে তাঁর। সাদা পোশাক ও বিনা মেকআপে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে করিশ্মাকে। মার্কিন মুলুকের নাগরিকত্ব থাকলেও সঞ্জয়ের আসল বাড়ি দিল্লিতে। আর সেই প্রেক্ষিতেই দেশে শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে।
যেহেতু ভারতের নাগরিকত্ব নেই, তাই সঞ্জয়ের মরদেহ দেশে আনার আগে একাধিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁর পরিবারকে। আর সেইজন্যই শেষকৃত্য দেরি হতে পারে বলে জানানো) হয়েছিল পরিবারের তরফে আগেই। একাধিক কাগুজে কাজ রয়েছে। সইসাবুত সেরে তবেই ছেলের মরদেহ দেশে আনতে পারবেন। আর সেই প্রেক্ষিতেই দিল্লিতে সঞ্জয় কাপুরের শেষকৃত্য দেরি হবে।
১২ জুন লণ্ডনে পোলো খেলতে খেলতে হঠাৎই মারা যান সঞ্জয়। পরে জানা যায় যে একটি মৌমাছি গিলে ফেলার ফলেই নাকি মৃত্যু ঘটে সোনা কমস্টারের চেয়ারম্যান ও সর্বোপরি করিশ্মার প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের। খ্যাতনামা শিল্পপতি সঞ্জয়ের সঙ্গে ২০০৩ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন করিশ্মা কাপুর। তবে সেই দাম্পত্য সুখকর হয়নি! তাই একদশক সংসার করার পর ২০১৬ সালে করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে ডিভোর্স হয়।
তবে বিচ্ছেদ হলেও দুই সন্তানকে বাবার থেকে আলাদা করেননি কাপুরকন্যা। ছুটি পেলেই সামাইরা এবং কিয়ানকে তাঁদের বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। সৎ মা প্রিয়া সচদেবও সামাইরার জন্মদিনে প্রতিবার নিয়ম করে আদুরে ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এদিকে বৃহস্পতিবার প্রাক্তন জামাইবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে দিদি করিশ্মার মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে মধ্যরাতে ছুটে যান সইফ-করিনা, মালাইকা-অমৃতারা। এই কঠিন সময়ে দিদিকে আগলে রেখেছেন বেবো।
টিএ/