ইরান থেকে নিজ দেশে চলে যাচ্ছেন হাজারো আফগান। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে ইরান সীমান্তবর্তী পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ইরান থেকে ফিরে আসছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কাবুলের ২৪ বছর বয়সী সাফিউল্লাহ, যিনি গত দুই মাস ধরে ইসফাহানে বসবাস করছেন এমন কয়েক ডজন আফগান নাগরিক যাদের ইরানে থাকার ভিসা থাকলেও যুদ্ধের পর আফগানিস্তানে পালিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, “আমি আফগানিস্তানে ফিরে যাওয়ার জন্য টিকিট পেতে তিন দিন ধরে অপেক্ষা করেছি। এখন টিকিট পাওয়া অনেক কঠিন এবং দামও তিনগুণ বেড়েছে। পরিস্থিতি দেখে আমি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তেহরানের প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইসফাহান বারবার ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী মেহরান বেশ কয়েক বছর ধরে ইরানে নির্মাণকাজ করছিলেন। তিনি বলেন, ইরানিদের শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “খাবার ও অন্য সবকিছুর দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেকারিতে রুটি খুঁজে পাওয়াও কঠিন ছিল। আমি তিনটি নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছিলাম, যার সবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। হামলা শুরুর পর আমি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই।”
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বিবৃতিতে বলেছে, “যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আদায় না হচ্ছে ততক্ষণ শত্রুদের সঙ্গে লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
ইরান জানিয়েছে, যুদ্ধের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল যুক্তরাষ্ট্র বা কোনো দেশের নাম উচ্চারণ না করে বলেছে, “এই আগ্রাসানে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ হলে, পরিকল্পনা অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরএম