ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ অঞ্চলে সোমবার মধ্যরাতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত সাতজন নিহত ও আরো অনেক আহত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লাইমেনকোর বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযো মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ক্লাইমেনকো জানান, বসতবাড়ি, হাসপাতাল, ক্রীড়া অবকাঠামোসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো বলেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জন একটি বহুতল ভবনে মারা গেছে। এ ছাড়া শহরে আরো ১৯ জন আহত হয়েছে।
পাশাপাশি ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, সর্বশেষ এই হামলায় ৩৫২টি রুশ ড্রোন ও ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ছোড়া হয়, যার বেশির ভাগই কিয়েভ অঞ্চল লক্ষ্য করে ছিল।
হামলার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা বিভাগ ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে হতভম্ব বাসিন্দাদের বের করে আনার ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, জ্বলন্ত একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বহুতল ভবনের ভেতর থেকে লোকজনকে উদ্ধার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় একটি পাতাল রেলস্টেশনের প্রবেশদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষ পুরো রাত কাটিয়েছেন এসব স্টেশনে আশ্রয় নিয়ে।
প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়া ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতের আরেকটি রুশ হামলায় কিয়েভে অন্তত ২৮ জন নিহত ও ১০০ জনের বেশি আহত হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভে এটি অন্যতম ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার লন্ডনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।
আরএম/এসএন