প্রথম দিনের প্রথম শো থেকেই যা শুরু হয়েছিল, তা এখন রীতিমতো এক বিপ্লব। দেব ও যিশু সেনগুপ্ত অভিনীত ‘খাদান’ শুধুমাত্র একটি মাস-অ্যাকশন সিনেমা নয়, বরং বাংলা বাণিজ্যিক সিনেমার কাছে এক নতুন পথ খুলে দিয়েছিল। সেই সাফল্যের ধারা বজায় রেখেই এবার ফিরছেন মধু। আসছে ‘খাদান ২’—আরও বড়, আরও রাফ, আরও আগুনে।
মুক্তির দিনেই ‘খাদান’ বাংলার প্রায় ১০০ হলে হাউজফুল। মধ্যরাতের শোতেও উপচে পড়া ভিড়। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-এক্সজুড়ে ট্রেন্ডিং পোস্ট, রিল, রিভিউ। ছবির শেষে দেবের মুখে যখন শোনা গেল “পিকচার অভি বাকি হ্যায়”—তখন থেকেই দর্শক ধরে নিয়েছিল, এই গল্প এখানেই শেষ নয়।
সেই প্রত্যাশাকে সত্যি করেই এবার আসছে ‘খাদান ২’। প্রথম পর্বে শেষ হওয়া গল্প এবার আরও বিস্তৃত হবে। কয়লাখনি অঞ্চলের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, লতিকার সঙ্গে মধুর জটিল সম্পর্ক, রাজনৈতিক মাফিয়াদের নতুন খেলা—সব মিলিয়ে গল্পে থাকবে আরও টুইস্ট, আরও নাটক।
যেভাবে প্রথম পর্বে দেব ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ রূপে নিজের নতুন চেহারা তুলে ধরেছিলেন, তা বাংলা সিনেমায় বহুদিনের খরা মিটিয়েছিল। দেবের এই মেজাজি রাফ স্টাইল অনেকেই তুলনা করছেন অমিতাভ বচ্চনের ‘দিওয়ার’ যুগের সঙ্গে। সেই ধারাতেই ‘খাদান ২’ নিয়ে তাঁর প্রত্যাবর্তন দর্শকদের কাছে যেন এক যুদ্ধজয়ের প্রতিশ্রুতি।
প্রথম ছবির বাজেট ছিল প্রায় ছয় কোটি টাকা। সেখান থেকে এবার আরও বড় ঝাঁপ। ‘খাদান ২’-এর বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। নিজেই ঘোষণা করেছেন দেব। জানিয়ে দিয়েছেন, “যদি আপনার এলাকার হলে সিনেমা না চলে, আমাকে জানাবেন, আমি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করব।”
এই মুহূর্তে বাংলা বাণিজ্যিক ছবির বাজারে সবচেয়ে আলোচিত নাম ‘খাদান’। এই সিনেমা এখন শুধু দেবের নয়, বরং এক নতুন বাংলা সিনেমা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠছে। কারণ বহুদিন বাদে একটি মেইনস্ট্রিম অ্যাকশন ছবি দর্শকদের রুদ্ধশ্বাস করে তুলেছে। হলমুখো করেছে হাজারো তরুণ দর্শককে।
‘খাদান ২’ কবে মুক্তি পাবে—সেই ঘোষণা এখনও হয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিনই ভক্তদের প্রশ্ন—“মধু আবার কবে ফিরবে?” উত্তর একটাই—খুব শিগগিরই। আর ফিরবেন আগুন হয়ে।