দক্ষিণ ভারতের সিনেমাপ্রেমীরা আবারও চোখ রেখেছেন এক পুরনো নামের দিকে—অক্কিনেনি পরিবার। বহুদিন পর এই পরিবারটির ঘরে ঘরে ফিরছে আলো, ফিরছে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড়, এবং তিন নায়কের তিনটি ভিন্ন সংগ্রাম এক সুতায় গেঁথে দিচ্ছে ভাগ্যরেখা।
নাগার্জুনা, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ঝকঝকে চেহারা আর নায়কোচিত গ্ল্যামারের প্রতীক ছিলেন, হঠাৎই পছন্দ করলেন ভিন্ন পথ। ‘না সামি রঙ্গা’ ছবির ব্যর্থতার পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বড় ক্যানভাস আর বাহারি দৃশ্য এখন আর যথেষ্ট নয়। তখনই তিনি অভিনয় করলেন শেখর কাম্মুলা পরিচালিত ‘কুবেরা’ ছবিতে, যেখানে তিনি এক দুর্নীতিগ্রস্ত কিন্তু দ্বিধান্বিত গোয়েন্দা কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করেন। সংযত আর বাস্তবধর্মী সেই অভিনয় প্রশংসিত হয় সর্বত্র। প্রমাণ হয়, তিনি এখনো অভিনয়নির্ভর ছবিতে অপ্রতিরোধ্য।
অন্যদিকে নাগা চৈতন্য, যিনি একের পর এক ব্যর্থ ছবির ভারে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি ফিরে এলেন ‘থান্ডেল’ ছবি দিয়ে। দুই তেলুগু অঞ্চলে এই ছবি দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। গল্প আর অভিনয়ের সহজাত প্রকাশে দর্শকের হৃদয় জিতেছেন চৈতন্য। ভক্তমহলে এখন শোনা যাচ্ছে—এই প্রথম তিনি সত্যিকারের নায়কের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পেরেছেন।
এই সাফল্যের গল্পের মাঝে এখন প্রশ্ন, তাহলে অখিল কোথায়?
অখিল অক্কিনেনি, যাঁকে নিয়ে প্রতিবারই নতুন করে নায়কের আবহ তৈরি করা হয়, তাঁর শেষ ছবি ‘এজেন্ট’ ছিল ভয়ানক ব্যর্থ। অতিরিক্ত খরচ, বেমানান রূপ বদল আর অকারণ ভঙ্গিমায় ভর্তি গল্প—সব মিলিয়ে দর্শক তাঁকে আর বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। অনেকেই বলেন, অখিল তো প্রতিবারই নতুন করে শুরু করেন।
এখন তিনি ফিরছেন ‘লেনিন’ নামের এক অপেক্ষাকৃত ছোট মাপের ছবিতে। পরিচালকের নাম পরিচিত নয়, খরচও সীমিত। তবে ভাগ্য হয়তো এবার তাঁর পক্ষে। বাবা নাগার্জুনা এবং ভাই চৈতন্য যখন একের পর এক সফলতা এনে দিচ্ছেন পরিবারে, তখন সেই ইতিবাচক ঢেউ ছুঁয়ে যাচ্ছে অখিলকেও।
‘লেনিন’ ঘিরে তাই আপাতত নিন্দা নয়, বরং সহানুভূতি আর প্রত্যাশার আবহ। এই ছবি যদি সামান্য সাফল্যও পায়, তবে বদলে যেতে পারে অখিলের ছাপ। এখন তাঁর জন্য এটি একটি কঠিন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই ছবি ঠিকভাবে মুক্তি পেলে, অক্কিনেনি পরিবার হয়তো আবার একত্রে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।
এসএন