'হীরামণ্ডি'-তে বিব্বোজান চরিত্রে সৌন্দর্য, সংযম ও শক্তির নিপুণ মিশেলে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন অদিতি রাও হায়দারি। এই চরিত্র তাকে ভক্তদের কাছে যেমন নতুন করে চিনিয়ে দেয়, তেমনি ইন্ডাস্ট্রির চোখেও তার অভিনয় ক্ষমতাকে আবারও সামনে আনে।
অনেকেই ভেবেছিলেন, সঞ্জয় লীলা বানসালির এই প্রকল্পের পর অদিতি একের পর এক বড় কাজ পেতে শুরু করবেন। তবে বাস্তবতা যেন অন্য কথা বলছে।
সম্প্রতি তেলেগু ১২৩-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন অদিতি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অভিনেতা সিদ্ধার্থের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে তার কাজের অফার কমে গেছে।
“বিয়ের পর থেকে কাজের অফারের সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই কমে গেছে,” সাফ ভাষায় বলেন অদিতি। তার এই বক্তব্য আবারও ইঙ্গিত করে, বর্তমান সময়েও বিবাহিত অভিনেত্রীদের প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দৃষ্টিভঙ্গি পুরুষ সহকর্মীদের তুলনায় অনেক বেশি কঠোর।
অদিতির স্পষ্ট বার্তা, এখন সময় এসেছে বিবাহিত অভিনেত্রীদের পুরুষ তারকাদের মতোই সম্মান ও সুযোগ দেওয়ার। তিনি স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারীদের জন্য চরিত্রের ধরণ বদলাচ্ছে, আসছে শক্তিশালী, গভীর ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। তবে অদিতির মতে, এগুলো যতই আসুক, বাস্তব সমতা এখনও অনেক দূরের বিষয়।
'হীরামণ্ডি'-তে তার চরিত্র বিব্বোজান ছিল দৃষ্টিনন্দন ও বলিষ্ঠ, তার অভিনয়ে মেলে নিঃশব্দ অভিব্যক্তির জাদু এবং শাসনের দৃপ্ততা। সেই পারফরম্যান্স তাকে যেমন আবারও আলোচনায় এনেছে, তেমনি একটি প্রশ্নও সামনে এনেছে, বড় প্রজেক্টের দরজা কি অদিতির জন্য সমানভাবে খোলা রইল?
এই প্রসঙ্গে অদিতির বক্তব্য আরও একটি পুরোনো বৈষম্যকে সামনে আনে, যেখানে পুরুষ তারকারা বিয়ের পরও অবিচল ক্যারিয়ারে এগিয়ে চলেন, সেখানে নারীদের জন্য সেই পথ অনেক বেশি প্রতিকূল।
ইন্ডাস্ট্রি যতই বদলাক, অদিতির মতো অভিনেত্রীর সাহসী উচ্চারণ মনে করিয়ে দেয়, ক্যামেরার সামনের মতো ক্যামেরার পেছনেও চাই সমতা ও ন্যায়বিচার।