বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৭

রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় হঠাৎ অভিযান চালিয়ে নারীসহ সাতজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা এবং মাদক বিক্রির নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. জয় (২০), খাদিজা (২১), আম্বিয়া (৪০), ফাতেমা (২১), পরীমনি (১৯), নাছরিন (২১) ও সুমাইয়া (১৯)। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৫৭২ গ্রাম ওজনের মোট ১০৪ পিস গাঁজা এবং মাদক বিক্রির নগদ ৭,৫২২ টাকা উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। যাত্রী সেজে অবস্থান নিয়ে নারী ও কিশোরীদের মাধ্যমে গাঁজা সরবরাহ করত তারা। সেনাবাহিনী গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সাত সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।

সেনাবাহিনী জানায়, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, মাদক নির্মূল এবং সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অপরাধমূলক চক্র দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে এই অভিযান পরিচালিত হয়।গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অভিযান সফল হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। তারা জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ বেড়ে গিয়েছিল। সেনাবাহিনীর হঠাৎ অভিযান অনেককেই চমকে দেয়, তবে এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আস্থা ও সাহস ফিরে এসেছে।

একজন স্থানীয় দোকানদার বলেন, “মাদক ব্যবসা রাতের বেলায় বেশি সক্রিয় থাকত। আমরা ভয় পেতাম কিছু বলতেও। এখন মনে হচ্ছে কেউ দেখছে, কেউ দায়িত্ব নিচ্ছে।”

সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও দায়িত্বশীল ও পেশাদার ভূমিকা পালন করবে।

প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা দেশের অন্যতম ব্যস্ত পরিবহন কেন্দ্র হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এটি অপরাধীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। এর আগেও র‌্যাব ও পুলিশ এখানে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছিল।

আরএম 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি, কমেছে দাম Dec 15, 2025
img
অস্ট্রেলিয়ায় বন্দুক হামলার ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৬ Dec 15, 2025
img

চানখারপুলে ছয় হত্যা

হাবিবুর রহমানসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু আজ Dec 15, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার Dec 15, 2025
img
এমবাপে ও রদ্রিগোর গোলে আলাভেসের বিপক্ষে স্বস্তির জয় রিয়াল মাদ্রিদের Dec 15, 2025
img
এলাকার উন্নয়নে ঐক্যের আহ্বান হাবিবুর রশিদ হাবিবের Dec 15, 2025
img
শব্দদূষণকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে: রিজওয়ানা হাসান Dec 15, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

হলান্ডের জোড়া গোলে ক্রিস্টাল প্যালেসকে বড় ব্যবধানেই হারাল ম্যানচেস্টার সিটি Dec 15, 2025
img
আজ ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হবে সিঙ্গাপুর Dec 15, 2025
img
১৫ ডিসেম্বর: ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা Dec 15, 2025
img

বুন্ডেসলিগা

টেবিলের তলানির দলের বিপক্ষে কোনোমতে হার এড়াল বায়ার্ন মিউনিখ Dec 15, 2025
img
ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রবাসীদের দেশ গড়ায় অবদান রাখার আহ্বান Dec 15, 2025
img
সিডনির ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন মুসলিম ফল ব্যবসায়ী Dec 15, 2025
img
বৃহস্পতিবারের মধ্যে চূড়ান্ত হচ্ছে বিএনপির শরিকদের আসন Dec 15, 2025
img
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা Dec 15, 2025
img
তুরস্কে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত Dec 15, 2025
img
অস্ত্রসহ সাবেক রেলমন্ত্রীর সহচর গ্রেপ্তার Dec 15, 2025
img
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হাঙ্গেরি Dec 15, 2025
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে ন্যাটোপ্রধানের মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন: মস্কো Dec 15, 2025
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে যা বললেন ইনকিলাব মঞ্চের জাবের Dec 15, 2025