সংঘাতহীন ক্ষমতা হস্তান্তরে ঐকমত্য কমিশনে রূপরেখা পেশ এনসিপির

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেছেন, বাংলাদেশে যখনই ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় হয়, তখন সরকার দল বিরোধী দল এবং অন্যান্য দলের মধ্যে একটা সংঘাত পূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়, ফলশ্রুতিতে আমরা দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এবং ঐকমত্য কমিশনের কাছে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিয়েছি।

বুধবার (২ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেখানে বিচারালয়কে টেনে এনে বিচারালয়কে রাজনীতিকরণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, আমরা এটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। আমরা বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমেই এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষের একটি ১১ সদস্যের পার্লামেন্টারি অল পার্টি কমিটির মাধ্যমে তাদের মধ্য থেকে তিনজন করে নাম প্রস্তাব করবেন, যিনি প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন। ওই নামগুলো পাবলিক হবে। ওইখান থেকে যে পাশ করে যাবেন, ১১ জনের কমিটি থেকে ভোটের মধ্যে যদি আট/তিন ভোটে পাশ করেন তিনি প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত হবেন।

তিনি বলেন, এই পদ্ধতি ব্যর্থ হলে পিআর সিস্টেমে আমাদের উচ্চকক্ষ গঠিত হলে র‍্যাংক চয়েজ ভোটের পদ্ধতিতে সেই নয়জন প্রার্থীর মধ্য থেকে একজন প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারব। আমরা একটা সিস্টেম ডেভেলপড করতে চাই, একটা শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া ঠিক করতে চাই। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় যে যুদ্ধাবস্থা, গৃহযুদ্ধের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়; সেই অবস্থা যেন বিরাজ না করে সেই প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। তারা বিবেচনা করবে বলেছেন।

সীমানা নির্ধারণের জন্য নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি স্বাধীন সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের বিষয়ে প্রস্তাব রেখেছি। তারপরও সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশেষায়িত কমিটি হবে। যেটি সংবিধানের ১১৯ (১)গ এর অনুচ্ছেদে যুক্ত করা হবে। সে বিষয়টা ঐকমত্যের স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করব। সব দলই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে একমত হয়েছে।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মিয়ানমারে অবৈধভাবে পণ্য পাচারের সময় ১১ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী Sep 16, 2025
img
চবিতে ‘হোস্টেল সংসদ’ নির্বাচনের ঘোষণা Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ Sep 16, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম Sep 16, 2025
img
দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে শ্রীলঙ্কা, খালি হাতে বিদায় নিল হংকং Sep 16, 2025
img
ভোজ্যতেল আমদানিতে ব্যয় বৃদ্ধি করল এনবিআর Sep 16, 2025
img
ইভ্যালি থেকে বেরিয়ে একই কৌশলে প্রতারণা, নারী গ্রেপ্তার Sep 16, 2025
img
এশিয়া কাপ জিতেনি বাংলাদেশ গুগোল করে নিশ্চিত হলেন ট্রট Sep 16, 2025
img
ড. ইউনূস ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বপ্ন বিনষ্ট হবে : রাশেদ খান Sep 16, 2025
img
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন Sep 16, 2025
img

মাসুদ সাঈদী

জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন, তাহলে নির্বাচন বর্জনের দরকার হবে না Sep 16, 2025
img
আরও ১ মাস বাড়লো ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ Sep 16, 2025
img
আগস্টে ৪৯ মামলায় জড়িত ৩১১ দুর্নীতিবাজ Sep 15, 2025
img
১৫ কেজির কোরাল মাছ বিক্রি ১৮ হাজারে Sep 15, 2025
img
শ্রীলঙ্কার সামনে হংকংয়ের ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জ Sep 15, 2025
img
নিকুঞ্জে নাগরিক জাগরণ: হারানো শান্তি ফিরে পাওয়ার গল্প Sep 15, 2025
img
সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ, আত্মবিশ্বাসী কোচ Sep 15, 2025
img
ম্যাচের আগে বাংলাদেশের প্রশংসায় জনাথন ট্রট Sep 15, 2025
img
অসুস্থ অমিতাভকে ২০০ জন ৬০ ব্যাগ রক্ত দিয়েছিলেন Sep 15, 2025
img
অতিরিক্ত ৬ বছরের কারাভোগ শেষে ভারতে ফিরলেন রামাতা Sep 15, 2025