বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির মতো বড় পরিবর্তন জনগণের মতামত নিয়ে সংসদের মাধ্যমে পাস করতে হবে। সংসদ ছাড়া এই পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না।’
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক’ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু বলেন, ‘এত বড় একটা (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন) পরিবর্তনের কথা যারা বলছে, এটা আগামী সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমরা যখন প্রেসিডেনশিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে আসি, তখন সব দলগুলো ঐকমত্য হয়ে সংসদে সেটা পাস করতে হয়েছে। এটা কোনো দলের ইচ্ছা থাকলে তাদের মতামতের ওপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি জনগণের কাছ থেকে তারা যেন সেই ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসে। যেকোনো বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেটা সংসদে নিয়ে, সংসদের মাধ্যমে পাস করতে হবে।
এই পর্যায়ে এটা কোনো আলোচনার বিষয় হতে পারে না।’
সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, ইতিমধ্যে সব কিছু বলা হয়েছে। অনেকগুলো তো বিএনপি প্রস্তাব, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবে না এসব বিএনপিরই প্রস্তাব। সুতরাং ঐকমত্য হওয়া নয় কোথায়? তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। আমরা এটা বাকশাল করতে চাচ্ছি না। এটা বাকশাল না। সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো এখন ঐকমত্যের মাধ্যমে, এর বাইরে যেগুলো থাকবে প্রত্যেকটি দলকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মতামতের মাধ্যমে করতে হবে।
লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলন তো দেড়-দুই মাস ছিল, তার আগে থেকে বছরের পর বছর যারা রাস্তায় ছিল শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বলছি। কারণ এই ঐক্যটা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং এটা শুধু নির্বাচন বলে কোনো কথা নয়, আমাদের ৩১ দফার ওপরে যে ঐকমত্য সংস্কারের বিষয়ে যে ঐকমত্য, এগুলো আমরা কিভাবে আগামী দিনে বাস্তবায়ন করব নির্বাচনের পরে জনগণ যদি আমাদের রায় দেয়, সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে নির্বাচনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু প্রমুখ।
ইউটি/টিএ