দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আড়াইশোর আগেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট হাতেও দারুণ শুরু পায় টাইগাররা।
এক উইকেট হারিয়ে দলীয় শতক স্পর্শ করেছিল বাংলাদেশ। এমন শুরুর পর হঠাৎ ছন্দ পতন। এক উইকেটে ১০০ রান থেকে ১০৫ এ যেতেই সাজঘরে ফেরেন আরো ছয় ব্যাটার। অর্থাৎ, ৫ রান যোগ করতে গিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে এর আগে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট এত কম রানে হারায়নি কোনো দল। আগের রেকর্ডটি ছিল ৮ রানের। ২০২০ সালে নেপালের বিপক্ষে ২৩ থেকে ৩১—এই ৮ রানে যুক্তরাষ্ট্র হারায় দ্বিতীয় থেকে অষ্টম উইকেট। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র দলীয় ৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। ইমন উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ রান করে এই ওপেনার ফিরলে ভাঙে ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে তামিমকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুজনের জুটিতে জয়ের পথেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারেই দলীয় শত রান স্পর্শ করেছিল বাংলাদেশ। তবে হঠাৎ রান আউটে কাটা পড়েন শান্ত। ২৬ বলে ২৩ রান করেছেন তিনি।
শান্ত ফেরার পরই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ৫ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের আরো ৬ ব্যাটার। লিটন দাস, তানজিদ তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদদের সবাই ব্যর্থ ছিলেন। তাদের মধ্যে লিটন, মিরাজ ও তাসকিন ডাক খেয়েছেন।
টিএ/