অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ছবিযুক্ত এক পোস্ট নিয়ে বলেছেন, একটা ফ্যাশন টিপস। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন তরুণ অফ-হোয়াইট ব্লেজার, টি-শার্ট ও ট্রাউজার পরেছেন এবং তার সঙ্গে পরেছেন স্পোর্টি হোয়াইট স্নিকার।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
পিনাকী ভট্টাচার্য ওই পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘এই স্টাইলটা কেমন, এই স্টাইল কেন কাজ করে, আর কারাই বা এটা ব্যবহার করে? বা এই পোশাকের সঙ্গে স্নিকার কি মানানসই? হ্যাঁ, এটা খুবই মানানসই। কারণ কী? কারণ হচ্ছে, এটাকে বলে, টোন-অন-টোন লুক। মানে হচ্ছে, পোশাকের সব রঙ হালকা-সাদা বা ক্রিমশেড, আর তার সঙ্গে মিল রেখে হোয়াইট স্নিকার দারুণভাবে ম্যাচ করেছে। পাশাপাশি এটাকে বলে ফর্মাল-ক্যাজুয়াল মিক্স। মানে ধরেন, ব্লেজার-ট্রাউজার তো সাধারণত ফর্মাল, কিন্তু স্নিকার পরলে তা হয়ে যায় স্মার্ট-ক্যাজুয়াল।
এই স্টাইলটা অফিসিয়াল মিটিং, মিডিয়া অ্যাপিয়ারেন্স বা তরুণ উদ্যোক্তাদের স্টাইল হিসেবে এখন খুব জনপ্রিয়।’
তিনি আরো লিখেন, ‘‘এখন প্রশ্ন করতে পারেন, কেন এটা একটা স্টাইল ট্রেন্ড হিসেবে বিবেচিত হয়? কারণ, স্নিকার মানেই কমফোর্ট। কিন্তু যদি সেটি পরিপাটি পোশাকের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে, তাহলে সেটা হয়ে ওঠে স্টেটমেন্ট। আগে ফর্মাল মানে ছিল অক্সফোর্ড সু। এখনকার প্রজন্ম সেই বাধা ভেঙে নতুন ফ্যাশন তৈরি করছে। তার ওপর এই লুক ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি, সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ দৃষ্টি কাড়ে। এই স্টাইল হয়ে উঠছে ‘নিউ এজ এক্সিকিউটিভ’ বা ‘ইয়ং চেঞ্জমেকার’ লুক তৈরি করে।’’
সবশেষে তিনি লিখেন, ‘আপনি যদি আধুনিক, আত্মবিশ্বাসী ও কিছুটা ক্রিয়েটিভ ইমপ্রেশন দিতে চান- তবে ব্লেজার ও স্নিকার কম্বো নিঃসন্দেহে পরার মতো স্টাইল। কমেন্ট বক্সে কিছু ছবি দিলাম।সবাই বিখ্যাত এবং ফ্যাশন সচেতন মানুষ। সবার পায়ের জুতা লক্ষ্য করেন। এই তরুণ আগামীতে রাষ্ট্রনায়ক হইয়া উঠতে পারে। এলাহী ভরসা।’