তাঁদের জুটি মানেই এক আলাদা রসায়ন। ‘ম্যায় খিলাড়ি তু অনাড়ি’ হোক বা ‘তাশান’—অক্ষয় কুমার ও সইফ আলি খানের জুটি বরাবরই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তবে এবার একেবারে অন্য রূপে দেখা যাবে এই দুই তারকাকে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তাঁরা ফিরছেন একসঙ্গে, কিন্তু এ বার নয় কোনও কমেডি বা অ্যাকশন মিশ্র বিনোদন, বরং এক গা ছমছমে থ্রিলারে। সিনেমার নাম ‘হায়ওয়ান’—যার অর্থই যেন বুঝিয়ে দেয় গল্পের ভিতরকার বন্যতা।
পরিচালনায় রয়েছেন প্রিয়দর্শন। যিনি ‘হেরা ফেরি’ কিংবা ‘ভুল ভুলাইয়া’র মতো জনপ্রিয় ছবির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তবে ‘হায়ওয়ান’-এ তিনি হাঁটছেন একেবারে ভিন্ন পথে—এই সিনেমা হবে টানটান উত্তেজনা ও মানসিক অন্ধকারের খোঁজে তৈরি এক থ্রিলার। প্রিয়দর্শনের ভাষায়, এটি কেবল একটি গল্প নয়, বরং চরিত্রগুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকা পশুবৃত্তিকে তুলে ধরা এক মানসিক দ্বন্দ্ব।
এই জুটি শেষ একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ২০০৮ সালের ‘তাশান’-এ। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই দশক। ‘হায়ওয়ান’ তাই শুধু পুনর্মিলন নয়, এক নতুন অধ্যায়ের সূচনাও। সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে ২০২৫ সালের আগস্টে, মুক্তি সম্ভাব্য ২০২৬ সালে।
অক্ষয় কুমার সম্প্রতি শেষ করেছেন ‘ভূত বাংলা’র শুটিং, যেটিও প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত একটি হরর-কমেডি। সেই ছবিতেই উঠে আসছে কালা জাদু, বেদ ও মহাভারতের ছায়া—যার মাধ্যমে হিউমার ও হররের এক নতুন সংমিশ্রণ ঘটানো হচ্ছে। তবে ‘হায়ওয়ান’-এ নেই কোনও হালকা মেজাজ, বরং রয়েছে গভীর আবেগ, ভয় আর এক মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।
সাইফ আলি খানকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছে ‘জুয়েল থিফ’ ছবিতে। এবার তিনি ফিরছেন এক ভিন্ন রূপে—যেখানে চরিত্রে থাকবে দ্বিধা, অন্ধকার আর পশুত্বের ছাপ।
সব মিলিয়ে ‘হায়ওয়ান’ হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম প্রতীক্ষিত থ্রিলার। যেখানে পরিচিত মুখের অচেনা রূপ, প্রিয় পরিচালক আর রুদ্ধশ্বাস গল্প একসঙ্গে জড়িয়ে তৈরি হবে এক নতুন বিনোদনের অভিজ্ঞতা।
এসএন