২০২৫ সালের সবচেয়ে আলোচিত দেশপ্রেমভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ব্যাটল অব গালওয়ান’ নিয়ে এখন আর উত্তেজনা নেই, বরং উঠেছে তীব্র সমালোচনা আর বিতর্ক। যা আরও বিস্ময়ের, তা হল, এই সমালোচনার ঝড় কিন্তু আসছে খোদ সালমান খানের ভক্তদের দিক থেকেই।
২০২০ সালের ভারত-চীন লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘ব্যাটল অব গালওয়ান’ ছবিটি নিয়ে প্রথমে আশাবাদী হলেও, এখন তা রীতিমতো ব্যাকফুটে। অন্যদিকে রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’ নামের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা থ্রিলার, যা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নির্মিত, তা মুক্তির আগেই ব্যাপক আগ্রহ ও উন্মাদনার সৃষ্টি করেছে।
দুই ছবি-ই দেশপ্রেমের বার্তা বহন করছে, কিন্তু প্রেক্ষাপট, নির্মাণশৈলী এবং তারকাবহুল কাস্টিংয়ের দিক দিয়ে তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করছে।
‘ব্যাটল অব গালওয়ান’-এর প্রধান চরিত্রে সালমান খান থাকলেও, বাকি শিল্পীদের তালিকায় রয়েছেন একাধিক অপরিচিত নাম, জেইন শ, হর্ষিল শাহ এবং হীরা সহল। চিত্রাঙ্গদা সিং ছাড়া পরিচিত কোনও মুখ নেই। এ নিয়েই উঠেছে কড়া প্রশ্ন, “এটা কি সালমানের নিজের ‘গ্যাং’ থেকে তোলা কাস্টিং?”
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ লিখেছেন, “সালমান এবার ‘চ্যারিটি কাস্টিং’ বন্ধ করুক, এটা ওর লিগেসি ধ্বংস করছে।” কেউ আবার আরও কড়া ভাষায় বলছেন, “তিনি এখন জাতীয় স্তরের নন, একরকম দ্বিতীয় সারির তারকা হয়ে গেছেন।”
অন্যদিকে ‘ধুরন্ধর’-এ রয়েছেন আর. মাধবন, অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল ও সঞ্জয় দত্তের মতো শক্তিমান অভিনয়শিল্পীরা। আর ছবির কেন্দ্রে রণবীর সিং-এর রগরগে চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ট্রেলার ছাড়াই, যা আগাম উত্তেজনার সূচক হিসেবে ধরা হচ্ছে।
একাংশ বলছে, ‘ধুরন্ধর’ যেন ২০১৮ সালের ‘রাজি’ বা ২০১৫ সালের ‘বেবি’-র আধুনিক রূপ। ট্রেলার মুক্তির আগেই ছবির প্রোমোশনাল কনটেন্ট ও তারকাবহুল কাস্টিং দর্শকদের নজর কেড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ‘ব্যাটল অব গালওয়ান’-এর নিরুত্তাপ অবস্থান চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে বলছেন, “যে সিনেমার নির্মাতারাই উত্তেজিত নন, সেটা দর্শক কেন দেখবে?” আরেকজন ভক্তের মন্তব্য, “এই সিনেমায় কোনও স্টারডমের ঝলক নেই, শুধু সালমান থাকলেই হবে না।”
তথ্য বলছে, ‘ধুরন্ধর’ ইতোমধ্যেই আলোচনায় শীর্ষে। সেখানে ‘গালওয়ান’ এখন লড়াই করছে শুধুই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। যদিও এখনও মুক্তির কিছুটা সময় বাকি, তবে কনটেন্টে যদি শক্তি না থাকে, তাহলে এই প্রতিযোগিতা একপাক্ষিক হয়ে যেতে পারে।
সালমান খানের ভক্তরা এখন স্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন, “আমরা লয়্যালটি চাই না, কোয়ালিটি চাই।”
এমআর/এসএন