এক সময় তাঁরা ছিলেন টলিপাড়ার অন্যতম আলোচিত জুটি। যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত—জীবনের এক দীর্ঘ অধ্যায় একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন। তবে সময় বদলেছে, সম্পর্কের সমীকরণও বদলেছে। আজ তাঁরা আলাদা, তবে জীবন থেমে থাকেনি। যিশু ফিরেছেন ক্যামেরার সামনে, আর নীলাঞ্জনা এগিয়ে গিয়েছেন প্রযোজনার জগতে — একেবারে নিজস্ব পরিচয়ে, নিজের মেধা আর মনের জোরে।
এই সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নীলাঞ্জনার প্রযোজনা সংস্থার প্রথম ধারাবাহিক ‘দাদামণি’। এর আগে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-এর প্রযোজনা করেছিলেন ঠিকই, তবে তখন শোনা গিয়েছিল যিশুরও অংশীদারি ছিল সেই প্রজেক্টে। এবার আর কোনও ছায়া নয়, একেবারে নিজের পরিচয়ে দাঁড়ানোর সময় এসেছে তাঁর। আর এই যাত্রার শক্তি হয়ে পাশে থেকেছে তাঁর দুই কন্যা — সারা ও জ়ারা।
শোয়ের প্রচার শুরু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ছিলেন নীলাঞ্জনা। কিন্তু দুই মেয়েই হয়ে উঠেছে তাঁর সাহস আর আত্মবিশ্বাসের মূল ভিত্তি। নীলাঞ্জনার কণ্ঠে তাই আবেগ, গর্ব আর কৃতজ্ঞতা— ‘‘আমি যে পারলাম, তাতেই ওরা গর্বিত। সারার আলিঙ্গন, জ়ারার চুম্বন — এই ভালোবাসাই আমাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে নতুন পথে।’’ মেয়েদের প্রশংসায় তিনি ভাসছেন, আর সেটা যেন তাঁর প্রাপ্তির সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি।
এই সময় যখন যিশু বিভিন্ন সিনেমার প্রিমিয়ারে দেখা দিচ্ছেন, টেলিভিশনের রিয়্যালিটি শো-তে ফিরছেন পুরনো জৌলুসে, তখন অন্য দিকে প্রাক্তন স্ত্রী নীলাঞ্জনা তার নিজের জীবন সাজাচ্ছেন সম্পূর্ণ নিজের মতো করে। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন— ভাঙন মানেই শেষ নয়, বরং সেটিই হতে পারে নতুন শুরুর ঠিকানা।
এসএন