গভীর সাগরে ১২ জেলেসহ এফভি-সাইকুল নামের মাছ ধরার ট্রলারডুবির তিন দিন পর মুমূর্ষু অবস্থায় ৯ জেলেকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী ট্রলার। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয়।
বিকেলে এ জানা যায় বাকি তিন জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ট্রলার মালিক ও সব জেলের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ট্রলার মালিক আলমঙ্গীর খলিফা ও উদ্ধারকারী ট্রলার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার পটুয়াখালী জেলার পায়রা পোর্টের বয়া থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে ১২ জেলে সহ উত্তাল সাগরে ডুবে যায় ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা ফ্লটে (জাল ভাসিয়ে রাখার উপকরণ) রশি বেঁধে ৮০ থেকে ৯০ ফুট লম্বা করে সবাই উত্তাল সাগরে ভাসছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্ধিন উপজেলার জেলে আবদুর রহিম ট্রলার নিয়ে ওই পথে যাওয়ার সময় ৯ জেলেকে উদ্ধার করেন।
পরে ট্রলারে থাকা ওষুধ দিয়ে ও মোটা কাপড় পরিয়ে তাঁদেরকে নিকটবর্তী চর মোন্তাজ পুলিশ ক্যাস্পে হস্তান্তর করেন তিনি।
উদ্ধারকারী আবদুর রহিম জেলেদের উদ্ধৃতি দিয়ে টেলিফোনে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, কবির শিয়ালী (৪৫),গোপাল (৪০) ও সোহাগ (৩০) নামের তিনজন কখন নিখোঁজ হয়েছেন তা সঙ্গী জেলেরা জানেন না। তিনি আশপাশে খুজঁলেও হতভাগ্য জেলেদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ব্যপারে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বিকেল ৩টায় টেলিফোনে গণমাধ্যমকে জানান, তাঁদের কাছে ৯ জেলেকে হস্তান্তর করা হলে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বিষয়টি বরগুনার পুলিশ সুপার, পাথরঘাটা স্টেশনের কোস্টগার্ড পাথরঘাটা থানাকে জানান হয়েছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক আলমঙ্গীর খলিফা বলেন, নিখোঁজ জেলেদের ভাগ্যে কী ঘটেছে জানা যায়নি। তবে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে ট্রলার পাঠানো হচ্ছে।
ইউটি/টিএ