রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনাকর মোড় নিয়েছে। চুক্তি নবায়ন নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা কার্যত থমকে গেছে। স্প্যানিশ ক্রীড়ামাধ্যম স্পোর্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্লাবের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—খেলোয়াড়ের পক্ষ থেকে আর্থিক চাপের কাছে নতি স্বীকার তারা করবে না।
ভিনিসিয়ুস নতুন যে চুক্তি চান, তাতে সে হবে ক্লাবের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়।
এমনকি দলে থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পের চেয়েও বেশি। তার এমন চাওয়া চুক্তির আলোচনাকে জটিল করে তুলেছে। বাইরে থেকে আলোচনার অগ্রগতির ইঙ্গিত মিললেও, বাস্তবে আলোচনা এক প্রকার স্থবির অবস্থায় আছে।
মূল সংকট বেতন কাঠামো নিয়ে।
বহু বছর ধরে রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ একটি নির্দিষ্ট বেতন নীতিমালার মধ্যেই ক্লাব পরিচালনা করে আসছেন। সাধারণত খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ বেতন ১৫ মিলিয়ন উইরোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়।
তবে এমবাপ্পের দলে যোগ দিতেই বাজার বদলে যাওয়ায়, মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ এখন ভিনিসিয়ুসের জন্য সেই অঙ্ক ২০ মিলিয়ন ইউরোয় উন্নীত করতে রাজি।
তবু ভিনিসিয়ুস সন্তুষ্ট নন।
তিনি দাবি করছেন মোটা অঙ্কের সাইনিং বোনাস এবং অতিরিক্ত গ্যারান্টিসহ একটি ‘সুপার-কন্ট্রাক্ট’। যার মোট আর্থিক মূল্য হবে এমবাপ্পের তুলনায়ও বেশি। তার মতে, তিনি দলে এমবাপ্পের সমান মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য।
রিয়াল মাদ্রিদ এই দাবির সামনে নতি স্বীকারে নারাজ। তাদের মতে, ভিনিসিয়ুসের দাবি আসলে ক্লাবকে চাপের মধ্যে ফেলেই বেতন কাঠামো ভাঙতে বাধ্য করার কৌশল।
তারা মনে করে, একবার যদি এই বেতন সীমা অতিক্রম করা হয়, তাহলে অন্য তারকারাও একই দাবি নিয়ে হাজির হবেন। যা ক্লাব পরিচালনার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই অচলাবস্থা চলতে থাকলে রিয়াল কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের আগেই ভিনিসিয়ুসকে বিক্রি করে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। এখনো তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি রয়েছে, ফলে সময় থাকতে ভালো ট্রান্সফার ফি আদায়ের সুযোগ রয়েছে। আর দেরি করলে ২০২৬ সালে বিনা পারিশ্রমিকে তাকে হারানোর ঝুঁকিও তৈরি হবে।
এমকে/এসএন