প্রভিশনাল বা প্রস্তাবিত ডাটা দিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট করে পাবলিককে সেনসিটাইজ করাটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এই বছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ (নেট এফডিআই) হয়েছে দশ হাজার পাঁচশ কোটি টাকা। ২০২৪ এর একই সময়ের তুলনায় এটা দ্বিগুণের চেয়ে একটু বেশি। আর অক্টোবর থেকে হিসাব করলে ছয় মাসে এফডিআই এসেছে ষোলো হাজার পাঁচশ কোটি টাকা, যা গত সরকারের আমলের শেষ ছয় মাসের তুলনায় মাত্র দ্বিগুণ।
তিনি আরও লেখেন, আমি আগেও বলেছি, এই বছরের এফডিআই আসার পেছনে আমাদের ভূমিকা যৎসামান্য। বিনিয়োগের ডিসিশন আগেই হয়েছিল। সম্ভবত প্রসেস একটু গতিশীল হয়েছে। যেমন- বিডা ও বাংলাদেশ ব্যাংক এখন অনেক দ্রুত ফরেন লোনগুলোকে স্ক্রুটিনি ও অ্যাপ্রুভ করছে।
তিনি বলেন, প্রায় মাস দুই আগে একটা কার্টুনসহ রিপোর্ট করা হলো একই সময়কে ফ্রেম করে। পড়ে মনে হচ্ছে প্লেন থেকে ঝাঁপ দেওয়া, সামিট আর প্রেজেন্টেশন করা ছাড়া আমরা কিছু করি না। আর তাই বিনিয়োগ ধ্বংস, অর্থনীতি ধ্বংস, দেশ ধ্বংস ইত্যাদি। প্রভিশনাল বা প্রস্তাবিত ডাটা নিয়ে এ রকম একটা নেগেটিভ রিপোর্ট করে পাবলিককে সেনসিটাইজ করাটা দুঃখজনক। এমনিতেই বাংলাদেশে ডাটা নিয়ে অনেক কনফিউশন। তার ওপর এসব অপসাংবাদিকতা মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা 'বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান উড়ছেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কমছে' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে আশিক চৌধুরীর কর্মকাণ্ড ও দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
ইউটি/টিএ