আগামী অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ৪৭তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।
৫৫তম আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে রুবিও বলেন, ‘এটা সম্ভব, হ্যাঁ। আমরা আসিয়ান-মার্কিন বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণে কাজ করছি।’
বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন শুল্ক প্রসঙ্গে রুবিও বলেন, অনেক আসিয়ান দেশের জন্য নতুন শুল্ক হার আসলে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের কিছু দেশের তুলনায় ভালো হবে। যদি চুক্তি হয়, তবে সমন্বয়ের দরজা সর্বদা খোলা থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখানে (আসিয়ান) প্রতিনিধিত্বকারী একাধিক দেশের সাথে আরও অগ্রগতি অর্জনের উপায় নিয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছি। তবে বাজার নির্দিষ্টতা দাবি করে এবং আমাদের সবাইকে জানাতে হবে যে ভিত্তি শুল্ক ১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে। যার মধ্যে জাপানের সাথে আগামী সপ্তাহে একটি আলোচনাও রয়েছে।
রুবিও আশ্বাস দেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এই গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অংশীদারিত্বগুলো পরিত্যাগ করবে না। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনসংখ্যার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যদি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনসংখ্যা দেখেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে তরুণ অংশ। আপনি শ্রমশক্তিতে বিশাল বৃদ্ধি দেখতে পাবেন। এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং অসাধারণ ঐতিহাসিক সময়।
রুবিও বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল এএমএম-এ এই অঞ্চলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে উপস্থিত রয়েছে। আমরা কয়েক দশক ধরে এই সম্পর্কগুলো তৈরি করেছি। আমরা শুধু এগুলো থেকে দূরে সরে যাচ্ছি না; আমরা এগুলোকে প্রসারিত করতে এবং আরও উন্নত করতে চাই।’
ইউক্রেন সংঘাত ও রাশিয়া-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে রুবিও বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের প্রস্তাবিত ইউক্রেন সংঘাতের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবেচনার জন্য আনা হবে। তবে তিনি সতর্ক করে দেন যে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এখনই শান্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে না। তবে এটি সম্ভবত শান্তির পথের দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে।
এমআর/এসএন