বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান আবারও প্রমাণ করতে চলেছেন কেন তিনি ‘কিং’। এবার তিনি নিয়ে আসছেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সিনেমা ‘কিং’ একটি গ্লোব-ট্রটিং অ্যাকশন থ্রিলার, পরিচালনায় সিদ্ধার্থ আনন্দ। দিন যত যাচ্ছে, ছবিটি নিয়ে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। ২০২৬ সালে এই সিনেমা কি নতুন করে সংজ্ঞা দেবে ব্লকবাস্টার শব্দটাকে এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে।
ছবির শ্যুটিং চলছে পূর্ণ গতিতে, কোনো রকম বিরতি বা বিলম্ব নেই। আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে বিশাল ইউরোপ শিডিউল যেখানে বুদাপেস্ট, প্রাগ আর বার্লিনের মতো শহরে হবে শ্যুটিং। এই পর্বে থাকবে শ্বাসরুদ্ধকর চেজ সিকোয়েন্স আর টানটান উত্তেজনায় ভরা দৃশ্য।
‘কিং’ শুধু শাহরুখ খানের জন্য নয়, তার মেয়ের জন্যও এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। এই সিনেমার মাধ্যমেই বড় পর্দায় অভিষেক করছেন সুহানা খান। তাই এটি শাহরুখের কাছে নিছক আরেকটি সিনেমা নয়—একেবারে পার্সোনাল প্রজেক্ট। শোনা যাচ্ছে, ছবিতে থাকবে এক বিশাল তারকাবহুল দল। যা একদিকে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে তুলছে প্রশ্নও—এত চরিত্রে কি সবার জায়গা ঠিকঠাক হবে? সমালোচকরা এই বিষয় নিয়ে সন্দিহান। তবে ‘পাঠান’ আর ‘জওয়ান’-এর অভিজ্ঞতা বলছে—যদি গল্প মজবুত হয়, এই উদ্বেগ মুছে যেতে বেশি সময় লাগবে না।
বর্তমানে চলছে ইনডোর দৃশ্যের শ্যুটিং আর প্যাচওয়ার্ক, যেখানে ছোট ইউনিটে গল্পের ফাঁকফোকর পূরণ করা হচ্ছে। প্রযোজকরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, ২০২৬ সালের মধ্যে ছবিটি মুক্তি পেতেই হবে মুক্তির তারিখ পেছাবে না।
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—‘কিং’ কি এক হাজার কোটি টাকার ক্লাবে ঢুকতে পারবে? প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া, কিন্তু সাফল্য নির্ভর করবে তিনটি ধাপের ওপর—প্রথম পোস্টার, টিজার আর ফুল ট্রেলার। যদি এগুলোর মার্কেটিং আর বার্তা ঠিকমতো পৌঁছানো যায়, তবে শাহরুখ খান আবারও বক্স অফিসের রাজা হয়ে উঠবেন।
সবশেষে বলা যায়, হাই-অকটেন অ্যাকশন, বিশ্বজুড়ে লোকেশন আর শাহরুখ খানের একেবারে নতুন রূপ ‘কিং’ হতে পারে এক বিশাল সিনেম্যাটিক ঘটনা। তবে আসল প্রশ্নটাই রয়ে যাচ্ছে—বাদশাহ কি শুধু সিংহাসনে বসবেন, না সত্যি সত্যি শাসনও করবেন?
এফপি/টিএ