ইরানের কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত গভীরতা নিয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু।
ফরাসি সাময়িকী লে ক্লাবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের কৌশলগত, কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক গভীরতা-এমনকি প্রাকৃতিক সম্পদগুলোও অবমূল্যায়ন করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানকে এমনভাবে দেখি যেন এটি খুব ছোট একটি দেশ, অথচ ১৯৭৯ সাল থেকে দেশটি বিশাল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও টিকে আছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও তারা নিজেদের অভিযোজিত করে নিয়েছে।’
গত ১৩ জুন ইরানের ওপর একটি অকস্মাৎ ও উসকানিহীন হামলা চালিয়ে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যা করে ইসরায়েল।
২২ জুন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এটিকে জাতিসংঘ সনদ ও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) লঙ্ঘন বলে ধরা হচ্ছে।
২৪ জুন ইরানের চালানো টানা ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েল একতরফাভাবে আগ্রাসন বন্ধের ঘোষণা দেয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন।
এই সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ছিল। যদিও ইরান বহুবার বলেছে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্যই, তবু পশ্চিমা দেশগুলো তাদের ওপর চাপ ও অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে লেকোর্নু জানান, নাতাঞ্জ, ইসফাহান ও ফোর্দোর পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তবে পুরো চিত্র জানতে ‘মাটির নিচে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত দুই দশকে ইরানের প্রযুক্তিগত জ্ঞান এতটাই এগিয়েছে যে কিছু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে তাদের জ্ঞান মুছে ফেলা যায় না। এতে কেবল ভীতি ছড়ায় এবং প্রকল্পটি কিছুটা পিছিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোর অগ্রগতি সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। তারা এখন ক্ষেপণাস্ত্র প্রপালশন ব্যবস্থার ওপর পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেছে।’
সূত্র: মেহের নিউজ।
এমআর/এসএন