ছবির অ্যালবাম এখনো বাজারে আসেনি, তবুও দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার দুনিয়ায় এখন সবার মুখে এক নাম—সাই অভ্যঙ্কর। এই তরুণ সংগীত পরিচালক এখনও পর্যন্ত একটি গানও মুক্তি দেননি, কিন্তু ইতোমধ্যেই আটটি বড় বাজেটের ছবিতে সাইন করে ফেলেছেন। যার মধ্যে রয়েছে সুরিয়া, কার্তি, আল্লু অর্জুন, শিবকার্তিকেয়ন ও সিমবুর মতো নামী তারকার সিনেমা।
ইন্ডাস্ট্রিতে এমন আস্থা সচরাচর দেখা যায় না। বিশেষত সংগীত পরিচালক হিসেবে, যাঁর কোনও পূর্ব প্রকাশিত অ্যালবাম নেই, তাঁর উপর এত বড় বাজি যেন অভূতপূর্ব ঘটনা। পরিচালক ও প্রযোজকদের একাংশ মনে করছেন, সাই অভ্যঙ্কর যে সমস্ত টেস্ট কম্পোজিশন বা ডেমো ট্র্যাক পেশ করেছেন, সেগুলিই তাঁকে এই অভাবনীয় আস্থার কেন্দ্রে এনে দাঁড় করিয়েছে।
তাঁর হাতে থাকা প্রোজেক্টের তালিকাটি যেন হিটলিস্টের মতো—কার্তির মার্শাল, সুরিয়ার করুপ্পু, শিবকার্তিকেয়নের SK24, প্রদীপ রঙ্গনাথনের ডিউড, রাঘব লরেন্সের বেনজ, সিমবুর নতুন ছবি, শেন নিগামের বাল্টি, এবং সবচেয়ে আলোচিত AA22—আল্লু অর্জুন ও আতলির ₹১০০০ কোটি বাজেটের সাই-ফাই মেগা প্রজেক্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইয়ের কম্পোজিশনের মধ্যে রয়েছে একটি নতুন ভাষা, যেখানে ট্র্যাডিশনাল সাউন্ড ও এক্সপেরিমেন্টাল বিট একসঙ্গে চলতে পারে। তিনি একই সঙ্গে মাস অ্যান্থেম ও সিনেমাটিক স্কোর নির্মাণে পারদর্শিতা দেখাচ্ছেন, যা আজকের মাল্টিজঁরা ব্লকবাস্টার প্রজেক্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে প্রত্যাশা যত বড়, চাপও ততটাই। এখনো পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ গান মুক্তি না পাওয়ায়, তাঁর প্রতিটি কাজকে ঘিরে উৎসুক দৃষ্টি। এতগুলো ভিন্ন ব্যানার, ভিন্ন তারকা ও ঘরানার সঙ্গে কাজ করা, এক তরুণ সংগীত পরিচালকের জন্য সহজ নয়।
তবু একটি বিষয় স্পষ্ট—সাই অভ্যঙ্কর এখন দক্ষিণী সিনেমার সবচেয়ে উজ্জ্বল সম্ভাবনার নাম। তাঁর কাজ সফল হলে, এই দশকেই দেখা যেতে পারে একজন নতুন এআর রহমানের উত্থান।
টিকে/