মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্ব ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি উপদেষ্টা আলী লারিজানি। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এখন এমন একটি দৃঢ় ও স্বতন্ত্র মধ্যপ্রাচ্য গড়ে উঠছে, যা আর বশ্যতাসম্পন্ন ও নির্ভরশীল নয়।
শুক্রবার তেহরানে আলী লারিজানি বলেন, ইতিহাসজুড়ে প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাভাবনা দীর্ঘ যুদ্ধ ও লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়েছিল যাতে এই ধরণের চিন্তাধারার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।
কিন্তু এখন এসব প্রতিষ্ঠান নিজেরাই হাস্যকর পরিণতিতে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই পুরনো প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাভাবনাই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মতো নেতারা ধারণ করছেন। তারা ‘ক্ষমতার মাধ্যমে শান্তি’ তত্ত্ব প্রচার করছেন—যা ইতিহাসের সব রক্তপিপাসু শাসকরাই ধারণ করতেন। তাদের বার্তা আসলে এরকম: ‘বশ্যতা স্বীকার করো, না হয় যুদ্ধ করো।’ তিনি যোগ করেন, মঙ্গোল বা হিটলার ঠিক এমনই কথা বলতেন, যেটা আজ ট্রাম্প বলছেন।
তিনি আরো বলেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময় এই মতাদর্শের ফলাফল হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষতি ও রক্তপাত। কিন্তু ফিলিস্তিন ও গাজার জনগণ আত্মসমর্পণ করেনি।
লারিজানি বলেন, ইরান সর্বোচ্চ নেতার প্রজ্ঞাময় নেতৃত্বে এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং এটিকে দেশের মাটিতে গ্রহণযোগ্য হতে দেয়নি—ফলে ট্রাম্পের তত্ত্ব ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিগুলোকে সচেতন থাকতে হবে যে এই সৃষ্ট অস্থিরতা কোনো ফল দেয়নি; বরং একটি নতুন, প্রতিরোধমূলক মধ্যপ্রাচ্য গঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা দাবি করেছিল হামাস ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হিজবুল্লাহ নির্মূল হয়েছে। কিন্তু ২১ মাস পরেও হামাস এখনও সামরিক অভিযান চালাচ্ছে—অতএব হামাস এখনো টিকে আছে।
এফপি/টিএ