ফিফা বিশ্বকাপ জিতে ২০২২ সাল আর্জেন্টিনা প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছিল ৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের জন্য বরাদ্দ এর তিনগুণেরও বেশি। ১ বিলিয়ন প্রাইজমানির টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়নদের জন্য রাখা হয়েছে ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশাল বাজেটের টুর্নামেন্টে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। ফিফা তাহলে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করল!
আজ রাতে (একটায়) চেলসি ও পিএসজির মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ গড়াবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল ভেন্যু মেটলাইফে। তার আগে ইনফান্তিনো টুর্নামেন্টের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, এটা থেকে তাদের আয় হয়েছে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে গতকাল ইনফান্তিনো বলেন, ‘অনেকে বলেছে আর্থিকভাবে এটা কাজ (সফল) করবে না, কিন্তু আমি বলতে পারি যে এই প্রতিযোগিতা থেকে আমরা ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছি, প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩৩ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বের আর কোনো টুর্নামেন্টে ম্যাচপ্রতি ৩৩ মিলিয়ন ডলার তো দূরের কথা, কাছাকাছিও আয় নেই।’
খাতা-কলম নিয়ে বসলে দেখা যাবে নতুন ঘরানার ক্লাব বিশ্বকাপের সমালোচকদের তালিকাটা বেশ লম্বা। এর বড় সমালোচকদের একজন লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। এই টুর্নামেন্টের ধারণাকে নিকৃষ্ট আখ্যায়িত করে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবল দুনিয়ায় আবিষ্কার হওয়া সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধারণা। যারা এর (ফুটবল) সঙ্গে কোনোদিন জড়িত ছিলেন না, তারা নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসছেন। এখানে অনেক ম্যাচ। ভয় হচ্ছে, সামনের মৌসুম থেকে না জানি কতজনের ইনজুরি হয়, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।’
লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাজও ক্লপের মতো অবস্থানে। কিন্তু ইনফান্তিনো এই টুর্নামেন্ট অন্যতম সফল বলছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ক্লাব বিশ্বকাপ বিশাল, বিশাল, বিশাল সাফল্য পেয়েছে। অবশ্যই, এর অনেক ইতিবাচক দিক আছে, কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। আমরা সবার মতকে সম্মান করি। এটি সফল হয়েছে।’
এমআর/টিকে