নতুন এক গোয়েন্দা এল পর্দায়—চেনা ঘরানার বাইরে, একটু অদ্ভুত, একটু বেখেয়ালি। ধ্যান শ্রীনিবাসনের ‘ডিটেকটিভ উজ্জ্বলান’ এখন নেটফ্লিক্সে ধরা দিচ্ছে নতুন রূপে। মে মাসে মুক্তি পাওয়া এই কিউরকি মিস্ট্রি-কমেডি ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও, ওটিটিতে পা রাখতেই ধীরে ধীরে দর্শকের ভালোবাসা কুড়াচ্ছে।
গল্পটি এক নিস্তরঙ্গ গ্রামের, যেখানে হঠাৎ একের পর এক রহস্যময় অপরাধ ঘটতে থাকে। এসবেরই তদন্তে নামে একজন অপটু, কিন্তু প্রবল উৎসাহী অপেশাদার গোয়েন্দা—উজ্জ্বলান। গোয়েন্দাগিরির চেনা পথে না হেঁটে, উজ্জ্বলান নিজের ছন্দে, নিজের যুক্তি আর আবেগে এগোয় রহস্যের দিকে। আর এখানেই ছবির মৌলিকতা।
‘ডিটেকটিভ উজ্জ্বলান’ আসলে ‘মিন্নাল মুরালি’-খ্যাত উইকএন্ড সিনেমাটিক ইউনিভার্সের দ্বিতীয় সংযোজন। এই ইউনিভার্সের প্রথম চরিত্র ছিল এক সুপারহিরো, আর এবার গল্প ঘুরে এল মাটির কাছাকাছি, এক আবেগী হাস্যরসে মোড়া গোয়েন্দার দিকে। পরিচালক ইন্দ্রনীল গোপীকৃষ্ণন ও রাহুল জি মিলে গড়ে তুলেছেন এক অভিনব দুনিয়া।
চিত্রগ্রহণে প্রেম আাক্কাট্টু ও স্রৈয়ন্তি, সম্পাদনায় চমন চ্যাকো, আর সঙ্গীতে আরজেড। সহ-অভিনেতা হিসেবে রয়েছেন সিজু উইলসন, রনি ডেভিড রাজ, কোট্টায়াম নাজির, সিমা জি নায়ার, এবং সোশ্যাল মিডিয়া তারকা নিহাল নিজাম ও নিবারাজ নৌশাদ। ধ্যান শ্রীনিবাসনের অভিনয় এই ছবির প্রাণ—তিনি গোয়েন্দার ভঙ্গি ও ব্যর্থতাকে এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যে চরিত্রটি একেবারে আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
ছবির ঘরানা যেমন ভিন্ন, গল্প বলার ধরনও তেমনই ব্যতিক্রমী। এই ছবির রহস্য আর হাস্যরসের মিশ্রণ দর্শকদের কাছে এক নতুন স্বাদ তৈরি করছে, বিশেষত সেই সব দর্শকের কাছে যারা রহস্যঘরানার বাইরে কিছু খুঁজছেন।
এই মুহূর্তে যাঁরা হালকা কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত গল্প খুঁজছেন, তাঁদের জন্য ‘ডিটেকটিভ উজ্জ্বলান’ হতে পারে নিখুঁত বিকল্প। বড়সড় সিনেমাটিক ইউনিভার্সে এমন এক ছোট শহরের কৌতুক আর অপেশাদার গোয়েন্দাগিরির ছোঁয়া সত্যিই বিরল।
এসএন