সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। ব্যাট হাতে লিটন দাস ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়েছিলেন ঠিকই। এরপর বাকি কাজটা করেন বোলাররা। বিশেষ করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলামরা লঙ্কান ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দেননি।
সময় মতো ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজও। ফলে বড় জয় পেতে বাংলাদেশকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। বাংলাদেশের দেয়া ১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা অল আউট হয়ে গেছে ৯৪ রানেই। এর ফলে ৮৩ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের দেয়া মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৩০ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। সেই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শুরুটা করেছিলেন শামীম পাটোয়ারি। তার ডিরেক্ট থ্রুতে রান আউট হয়ে ফেরেন ৫ বলে ৮ রান করা কুশল মেন্ডিস। ফলে দলীয় ১৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে পয়েন্টে কাট করেছিলেন মেন্ডিস। তবে সার্কেলের মধ্যে ফিল্ডিং করা শামীম বল ছুঁড়ে মারেন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ফলে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে।
পরের ওভারে কুশল পেরেরা শূন্য রানে শরিফুল ইসলামের বলে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে চিকি শট খেলতে গিয়ে কাভার পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কান এই ব্যাটার। পরের ওভারে এসে শরিফুল আউট করেছেন আভিষ্কা ফার্নান্দোকে। শরিফুলের ফুলার লেন্থ বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে চতুর্থ আঘাত হানেন সাইফউদ্দিন। এই পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৫ বলে ৫ রান করা চারিথ আসালাঙ্কা। শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। এরপর রিভিউ নিয়ে লঙ্কান এই ব্যাটারকে আউট করে বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিনের ফুলার লেন্থ ডেলিভারিতে আউট সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আসালাঙ্কা। দারুণ এক জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা নিশাঙ্কাকে ব্যক্তিগত ৩২ রানে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন রিশাদ। ফলে ভাঙে তাদের ৪১ রানের জুটি। সেই ওভারেই শূন্য রানে চামিকা করুনারত্নেকে আউট করেন এই লেগ স্পিনার।
রিশাদের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন লঙ্কান এই ব্যাটার। রিশাদের ফুলার লেগ ব্রেক বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন চামিকা। তবে ব্যাটে বলে করতে পারেননি। লিডিং এজ হয়ে সোজা বল চলে যায় বোলারের হাতে। পরের ওভারেই মিরাজ আউট করেছেন দাসুন শানাকাকে।
এই অফ স্পিনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে তানজিদ হাসানকে ক্যাচ দেন ১৬ বলে ২০ রান করা এই লঙ্কান ব্যাটার। পরের ওভারে এসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আউট করেছেন জেফরি ভ্যান্ডারসেকে। সাইফউদ্দিনের নাকাল বলে বিভ্রান্ত হয়ে তিনি ক্যাচ দেন স্কর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজুর রহমানকে। এরপর বোলিংয়ে এসে মুস্তাফিজ ফিরিয়েছেন মাহিশ থিকশানাকে। আর বিনুরা ফার্নান্দো রিশাদ হোসেনের শিকার হলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে যায়।
ইউটি/এসএন