দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের এক সপ্তাহের মধ্যে দশম গ্রেড দিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দেশের প্রায় ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এই গ্রেড দেওয়া না হলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইনসচিব, জনপ্রশাসনসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব, অর্থসচিব ও শিক্ষাসচিবকে এ নোটিশ পাঠান।
এ বিষয়ে আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয়।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা কার্যকর করা হয়নি। পরে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট নিষ্পত্তি করে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।’
‘হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আপিল খারিজ হলে পরে রিভিউ করা হয়। এ বছরের ১৩ মার্চ তা-ও খারিজ হয়। এরপর ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গত ৭ জুলাই দশম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সবাই মামলা না করলেও বাকি প্রধান শিক্ষকদেরও রায় অনুযায়ী সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের তা না দেওয়ায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। আশা করি, এই নোটিশ পাওয়ার পর তাদের দশম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিতে উদ্যোগ নেবে সরকার।’
এফপি/টিএ