গ্ল্যামার, সাহস, আর অভিজাত উপস্থিতি—প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মানেই যেন এক অন্য ছাঁচের তারকা। বলিউডে যাত্রার শুরুতেই অনেকে বুঝে গিয়েছিলেন, তিনি লম্বা দৌড়ের ঘোড়া। তাঁদেরই একজন বলিউড প্রযোজক সুনীল দর্শন। শুক্রবার, প্রিয়ঙ্কার জন্মদিনে এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, অভিনেত্রীকে প্রথম দেখেই তাঁর চোখে ভেসে উঠেছিল রেখার প্রতিচ্ছবি!
প্রযোজকের ভাষায়, “২০০২ সালের এই দিনেই প্রিয়াঙ্কা আমার ‘অন্দাজ়’ ছবির জন্য চুক্তিতে সই করেছিলেন। কী কাকতালীয়! তখনই ১৫ মিনিটের মধ্যেই বুঝেছিলাম—এটা স্রেফ আরেকজন সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী নয়, বরং ভবিষ্যতের এক পরিপূর্ণ তারকা। আমার মনে হয়েছিল, যেন আরেক রেখাকে খুঁজে পেয়েছি।”
তবে প্রিয়াঙ্কার পথচলা সহজ ছিল না। বলিউডের মূলস্রোতে ঢোকার পর বারবার তাঁকে শুনতে হয়েছে গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ, এমনকি সহ-অভিনেত্রীদের দিক থেকেও এসেছে হীন মন্তব্য। কিন্তু সব চুপ করিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি—নিজের অবস্থান তৈরি করে বলিউডের শীর্ষনায়িকাদের একজন হয়ে উঠেছেন।
‘দ্য হিরো: লাভ স্টোরি অফ আ স্পাই’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ। এরপর ‘অন্দাজ়’, যেখানে অক্ষয় কুমার ও লারা দত্তের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে নজর কাড়েন তিনি। এর পরের অধ্যায়টা শুধু সাফল্যের চূড়ায় চড়ার। ‘অ্যায়তরাজ়’, ‘ফ্যাশন’, ‘সাত খুন মাফ’, ‘বরফি’, ‘মেরি কম’—প্রতিটি ছবিতে নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন।
সুনীল দর্শনের সাফ কথা, “ও জানত, সে হিন্দি ছবিতে বড় তারকা হবে। সেই বিশ্বাস দেখেই আমি ওকে ২০০৫ সালের ‘বরসাত’ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে নিয়েছিলাম। আর সেটাই হয়ে ওঠে ওর অন্যতম সেরা কাজ।”
আজ যখন প্রিয়াঙ্কা আন্তর্জাতিক তারকা, হলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করে ফেলেছেন, তখন এই পুরনো কথাগুলো যেন আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে। ৪৩-এ পা দিলেন ‘দেশি গার্ল’, কিন্তু তারকামণ্ডলে তিনি আগেও ছিলেন উজ্জ্বল, এখনও সেই জ্যোতি আরও তীব্র।
এসএন