দক্ষিণী সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি রজনীকান্ত আবার ফিরছেন অ্যাকশনে। তাঁর নতুন সিনেমা ‘কুলি’ ঘিরে ইতোমধ্যেই উন্মাদনা তুঙ্গে। পরিচালনায় রয়েছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত নির্মাতা লোকেশ কানাগরাজ। আসছে ১৪ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত এই ছবি, যদিও একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে আরেক বড় বাজেটের ছবি ‘ওয়ার ২’। তবে তাতে রজনী ম্যাজিকের ছোঁয়ায় দর্শকদের আগ্রহে কোনো ঘাটতি নেই।
‘কুলি’ ছবিতে রজনীকান্তের সঙ্গে আরও রয়েছেন শ্রুতি হাসান, উপেন্দ্র, আমির খান, সৌবিন শাহির ও নাগার্জুনার মতো তারকারা। এমন একজোড়া তারকাবহুল কাস্টিং বলেই ছবিটির স্কেল ও সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণে।
চমক এখানেই শেষ নয়। ছবির নির্মাতারা এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কাহিনি প্রকাশ করেননি। তবে ইতোমধ্যে দুটি ভিন্ন থিওরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে, যা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনার ঢেউ।
প্রথমটি বলছে, একটি সময়চক্রভিত্তিক অপরাধজগতের গল্প, যেখানে এক বৃদ্ধ সোনার চোরাকারবারি পুরনো সোনার ঘড়িতে লুকিয়ে রাখা প্রযুক্তির মাধ্যমে আবার গড়ে তোলে নিজের অপরাধ সাম্রাজ্য। এই প্রযুক্তি সময় নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত দেয়, যার ফলে গল্পে তৈরি হয় বৈজ্ঞানিক ও মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা।
অন্য থিওরি অনুযায়ী, এটি একজন পুরুষের প্রতিশোধের দীর্ঘ যাত্রার গল্প, যেখানে তার জীবনের বিভিন্ন বাঁকে লুকিয়ে আছে বিশ্বাসঘাতকতা, আত্মপরিচয়ের দ্বন্দ্ব এবং গভীর মানসিক ক্ষরণ।
পোস্টারে রজনীকান্তকে দেখা গেছে রুক্ষ চেহারায়, হাতে রহস্যময় একটি সোনার ঘড়ি যা দর্শকদের আরও বেশি করে রহস্যের জালে টেনে নিচ্ছে। যদিও ‘কুলি’ লোকেশ সিনেমাটিক ইউনিভার্সের (এলসিইউ) অংশ নয়, তবে নির্মাতা নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, এটি এক নতুন ধরনের ‘স্টোরিটেলিং স্পেস’ তৈরি করতে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে, সময়, অপরাধ, প্রতিশোধ ও আত্মপরিচয়ের দ্বন্দ্বে তৈরি ‘কুলি’ হতে চলেছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আর রজনীকান্ত যেখানে, সেখানেই তো নতুন কিছুর জন্ম!
এমকে/টিকে