অনেক স্বাস্থ্যসচেতনরা প্রায়ই ঘি খেয়ে থাকেন। ওজন কমানোর জন্য এবং বদহজম, এসিডিটির সমস্যায় এটি কাজে আসে। তাই সকালে খালি পেটে ঘি খেতে পারলে উপকার বৈ ক্ষতি নয়।
হালকা গরম পানিতে সামান্য ঘি মিশিয়ে যদি সকাল বেলায় খালি পেটে খাওয়া যায়, তাহলে অনেক উপকার পেতে পারেন। এই একটি পানীয় শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান করবে। এতে আপনার হজমশক্তি আরো ভালো হবে। খাবার ভালোভাবে হজম হবে। খাবার ভালোভাবে হজম হলে গ্যাস, এসিডিটি, পেটের সমস্যা, এগুলো থেকে দূরে থাকবেন আপনি। কিছু খেলেই পেট ফেঁপে যাওয়ার সমস্যা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেবে না।
ঘি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ইমিউনিটি বাড়লে আপনি সহজে অসুস্থ হবেন না। সংক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন। ঘনঘন অসুস্থ হওয়ার সমস্যা কমবে। সর্দি, হাঁচি-কাশি, জ্বর এসব জ্বালা-যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন। ঘি খেলে ভালো থাকবে অন্ত্রের স্বাস্থ্য। আর অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে খাবার সহজে হজম হবে। পেটের সমস্যা দেখা দেবে না।
অন্যদিকে গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খেলে তা বডি ডিটক্সিফিকেশনেরও কাজ করে। শরীরে জমে থাকা যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে আনবে হালকা গরম পানিতে সামান্য ঘি মেশানো এই পানীয়।
ওজন কমাতেও সাহায্য করবে এই পানীয়। কারণ ঘি আমাদের শরীরে মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর পাশাপাশি হাড়ের গঠন মজবুত করবে ঘি মেশানো গরম পানি। এ ছাড়া এই পানীয় বজায় রাখবে ত্বকের জেল্লা।
তবে ঘি খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত ঘি কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। কেননা, ঘি হলো উচ্চ ক্যালরির খাবার। যদি তা অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তাহলে তা ওজনের জন্য খারাপ হতে পারে। আগেকার দিনে মানুষ কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করত। তাই সেক্ষেত্রে উপকারী ছিল ঘি। কিন্তু এখন আমরা সেভাবে কাজ করি না। অথচ ঘি সেবনের নিয়ম কিন্তু মেনে চলি। তাই অতিরিক্ত ঘি কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না।
ইউটি/টিএ