ধরুন, রূপকথার সেই আলাদিনের চেরাগ পেলেন আপনি! তাতে ঘষাও দিলেন। ‘জো হুকুম’ বলে বেরিয়ে এলো বিশালাকৃতির সেই দৈত্য। আপনার তিনটি চাওয়া পূর্ণ করবে দৈত্যটি। কী চাইবেন তার কাছে? অভিনেতা খায়রুল বাসার জানিয়েছেন আলাদিনের চেরাগ পেলে তিনি কী চাইবেন দৈত্যের কাছে।
প্রথম চাওয়া
সবার আগে চাইব মা-বাবার স্থায়ী সুস্থতা। বয়স হলে মা-বাবা যেন সুস্থ থাকেন, এটা সব সন্তানেরই চাওয়া। তারা যেন শেষ জীবনের অবকাশ উদযাপন করতে পারেন। বয়স হলে একের পর এক ছোট ছোট অসুস্থতা দেখা দেয়, যেগুলো তাদের দিনগুলো বিষিয়ে তোলে।
সব ধরনের অসুস্থতা থেকে মা-বাবাকে যেন নিরাপদ রাখা যায়, এমন একটা জাদু দরকার।
দ্বিতীয় চাওয়া
এর পরই চাইতাম মানুষ স্বীকৃতি পাক কেবল প্রাণী হিসেবে। মানুষের জন্য এই পৃথিবীর সব কাঁটাতার উঠে যাক। সেরাদের সেরা হওয়ার যুদ্ধ থেকে মানুষ মুক্তি পাক।
নানা দল, নানা শ্রেণি, ক্ষমতা বা আধিপত্যের যে যুদ্ধ দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ, এই যুদ্ধ থেমে যাক। মানুষ হবে তখন পাখির মতো, পুরো পৃথিবী হোক এক দেশ।
তৃতীয় চাওয়া
আমাদের ময়মনসিংহে এক চাচা প্রায়ই মজার ছলে বলতেন, ‘মরলে আর বাঁচন নাই।’ কথাটার মানে বুঝতাম না। একদিন তিনি আল্লাহর ডাকে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করলেন।
আমি উনাকে মিস করতে শুরু করলাম। এই সামান্য কথাটার মানে খুঁজতে শুরু করলাম। উনি হয়তো বোঝাতে চাইতেন—মরার আগে যা করার তা করে যাও, জীবনটাকে অবহেলা কোরো না, মারা গেলে আর বেঁচে ফেরার সুযোগ নেই। তাই এই সুযোগটাই চাইতাম। চাইতাম ওই আংকেলকে যেন আল্লাহ আবার ফিরিয়ে দেন। আমি যেন ৩২ দাঁত বের করে হাসতে হাসতে তাকে বলতে পারি, ‘এই এক সামান্য কথা বলে মরেও তো বেঁচে ছিলেন।’
এমআর/এসএন