প্রায় তিন দশক হয়ে গেল তিনি নায়িকা। আজও নানা প্রজন্মের কাছে তিনি আরাধ্য। ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা। নিজের সময়কালে করেছেন রাজত্ব।
বলছিলাম দিলারা হানিফ পূর্ণিমার কথা।
অন্য সবার মতো পূর্ণিমার হৃদয়কেও ক্ষতবিক্ষত করেছে মাইলস্টোনের হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। ঘটনার পর থেকে চোখের পাতা এক করতে পারেননি।
বারবার মনে হয়েছে নিজের মেয়ে উমাইজার কথা। উমাইজাও পড়ে উত্তরার একটি স্কুলে। সে-ও তো মাইলস্টোনে পড়তে পারত। সেদিন ওখানে থাকতে পারত উমাইজাও! কিভাবে নিজেকে সামলাতেন তখন? পূর্ণিমা বলেন, ‘কোমলমতি প্রাণগুলো কিভাবে চোখের সামনে ঝরে গেল। একেকটা পোড়া শরীরের ফুল দৌড়াদৌড়ি করছে আর মানুষ ভিডিও করছে।
এদের আমি মানুষ বলতে নারাজ। ধিক্কার জানাই এদের। দুঃসময়ে যারা পানির দাম বাড়িয়ে দিল, রিকশার ভাড়া বাড়িয়ে দিল, তারা কেউ মানুষের কাতারে পড়ে না।’
এই স্কুলের পারমিশন পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘কিভাবে রানওয়ের এত কাছে এমন একটা স্কুল তৈরির অনুমতি পায়? এই মৃত্যুকে কি শুধু দুর্ঘটনা বলা যাবে? এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা যেন আর না ঘটে সেদিকে সরকারকে লক্ষ রাখতে হবে। গত তিন দিন ফেসবুক খুলিনি। এসব ভিডিও দেখলে আমার অন্তর কেঁপে ওঠে।’
এসএন