ওপার বাংলার অভিনেত্রী রিয়া গাঙ্গুলি এবং তার স্বামী অরিন্দম চক্রবর্তীর দাম্পত্য কলহ নেটিজেনদের মাঝে নতুন মোড় নিয়েছে। কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল, যা একসময় বিবাহবিচ্ছেদের পর্যায়ে পৌঁছায়। এবার রিয়া তার স্বামীর বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন, এমনকি প্রয়োজনে বড় পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়ার শ্বশুরবাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্টে হলেও, তিনি হাওড়ায় তার স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে সেই ফ্ল্যাটে যান রিয়া। সেখানে গিয়েই তিনি ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন।
রিয়ার কথায়, ‘আমার বেডরুমে ঢুকে যা দেখলাম, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু নিদর্শন পুরো ঘরে ছড়িয়ে ছিল। পাড়ার লোকজন জানালেন, মেয়েটির অবাধ যাতায়াত রয়েছে এখন এই বাড়িতে। এমনকি এর পেছনে আমার শ্বশুরমশাইয়েরও মদত রয়েছে বলে অনেকের মত।’
‘তার সমস্ত প্রমাণ এখন আমার হাতে রয়েছে। তাই বাড়িতে এসে অকথ্য অত্যাচার করছে। ওই মহিলার স্বামী এসেও আমাকে জানিয়েছেন, আমার নামে তাদের বাড়ি গিয়ে অরিন্দম অনেক কিছু বলেছে, নোংরা কথা বলেছে আমার বিষয়ে।’
রিয়া আরও দাবি করেন, ২০২৩ সাল থেকেই অরিন্দম সে মহিলার বাড়িতে আনাগোনা শুরু করেন এবং তখন থেকেই ওই মহিলা যেমন নিজের স্বামীর ওপর অত্যাচার করতেন, তেমনি অরিন্দমও রিয়ার ওপর একইরকম অত্যাচার শুরু করেন।
ঘটনার পর রিয়া অরিন্দমের ব্যবহৃত একটি পুরোনো ফোন প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহ করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে রিয়া বলেন, ‘আমার মা-বাবাকে অরিন্দম এসে বলেছে আমার ফোন আমি চুরি করেছি, তাই সে পুলিশে অভিযোগ জানাবে। আমার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে এসে মা, বাবাকে ভয় দেখাচ্ছে।’
প্রাণে মারার হুমকির কথা উল্লেখ করে রিয়া আরও বলেন, ‘শুধু তাই নয়, আমার ফ্ল্যাটে ঢুকে বেডরুমের দরজা ভাঙার চেষ্টা থেকে শুরু করে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমার বাবা-মাকে টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছে। এখন তো আর মিউচুয়াল ডিভোর্সের প্রশ্নই উঠছে না।’
এসএন