বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ফিল সিমন্সকে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে কোচ হিসেবে তার দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে, তবু গুঞ্জন থামেনি-হয়তো বিদায় নিতে হচ্ছে ৬২ বছর বয়সী এই ক্যারিবীয় কোচকে।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এমন গুঞ্জন সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে। বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু গণমাধ্যমে বিষয়টিকে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ গুজব।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে সিমন্সকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয় বিসিবি। দায়িত্ব নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ হার-একটা কঠিন সূচনা। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। যদিও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়, টেস্ট সিরিজ ড্র করে এবং টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য আসে সিমন্সের শিষ্যদের হাত ধরে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট হার, আমিরাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার এবং পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশ-সব মিলিয়ে চাপ বাড়তে থাকে কোচিং স্টাফের ওপর।
শ্রীলঙ্কা সফরে আবার দেখা মেলে টেস্টে লড়াকু মানসিকতার, ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টিতে জেতে বাংলাদেশ। সর্বশেষ পাকিস্তানের সঙ্গে ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে সমালোচনার মুখে কিছুটা শক্ত অবস্থানে ফেরেন সিমন্স।
ক্রিকেট অঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, হয়তো সিমন্সকে সরিয়ে দেবে বিসিবি। তবে ইফতেখার রহমান মিঠু তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘অন্তত আমি এ ব্যাপারে জানি না। এসব হয়তো বাইরের গুজব। কারণ এখন পর্যন্ত দল ভালো খেলছে, দুইটা সিরিজ পরপর জিতেছে। আমার মনে হয় না… আপনি এটাকে পুরোপুরি গুজব বলতে পারেন।’
সিমন্সের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমদের ব্যাটিং উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন তিনি। তবে বিসিবি ভাবছে, ব্যাটিং কোচ হিসেবে একজন নতুন বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগের। এমন হলে সালাহউদ্দিন সহকারী কোচ হিসেবে মূলত প্রধান কোচের পরিকল্পনায় কাজ করবেন।
সিমন্সের চুক্তি রয়েছে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু পারফরম্যান্সই চূড়ান্ত মানদণ্ড-এটি ক্রিকেট বিশ্বে নতুন কিছু নয়। সাম্প্রতিক সাফল্য কিছুটা ভরসা যোগাচ্ছে। তবে সামনে আরও চ্যালেঞ্জ-এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের প্রস্তুতি!
এমআর/টিকে