সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কোরিওগ্রাফার অ্যাডলফ খানের বেশ কয়েকটি ছবি। সেসব ছবির ক্যাপশনে বলা হচ্ছে, তিনি দেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
অ্যাডলফ খান মূলত একজন কোরিওগ্রাফার। সে কারণে দেশের শোবিজ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়। তার সাজ-পোশাক আর দশ জনের চেয়ে আলাদা। ফলে সহজে সবার নজরে পড়েন এই কোরিওগ্রাফার।
সম্প্রতি সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর হিসেবে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তবে সেটা সুদর্শন পুরুষের অ্যাওয়ার্ড বলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিরক্ত অ্যাডলফ।
এ বিষয়ে এই কোরিওগ্রাফার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমি একজন শিক্ষিত-সচেতন-স্পষ্টভাষী মানুষ! আমি কখনও কোথাও বলিনি আমি দেশের সবচেয়ে সুদর্শন। তবে হ্যাঁ, আমি আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ মেধাসম্পন্ন একজন। আল্লাহ আমাকে জ্ঞান-বুদ্ধি-ব্যক্তিত্ব, সরলতা, উদারতা, অন্যকে সম্মান ও ভালোবাসা দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমাকে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক না করে, মাথা খাটিয়ে ভাবুন, আমি কখনও কোথাও এমন কোনো কথা বলতে পারি কিনা!
তার ভাষ্য, কখনও কেউ বলতে পারবে না, মুখে হাসি ছাড়া আমি কারও সঙ্গে কথা বলেছি। ভালোবাসা না ছড়িয়ে বিদায় নিয়েছি। আপনারা নিশ্চয়ই কম বেশি আমার সাক্ষাতকারের সঙ্গে পরিচিত। আমাকে সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর হিসেবে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। কোনো সুন্দর প্রতিযোগিতার সেরা সুদর্শন হিসেবে নয়। আমি বরাবর ব্যতিক্রম, সবার মতো নই। কারও মতো হবো না বলেই শুধুমাত্র অ্যাডলফ খানই হতে চেয়েছি। যারা ভুল সংবাদ ছড়ালেন, আমার বাবার অসুস্থতার সময় আমাকে বিব্রত বিরক্ত করলেন, জোর করে আমাকে ট্রেন্ডিংয়ে আনলেন, তারা আসলে কি চেয়েছিলেন? উপকার নাকি অপকার...? বিবেক, ক্ষমা... এই শব্দ দুটির সঙ্গে নিশ্চয়ই আপনারা পরিচিত।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে র্যাম্প মডেল বুলবুল টুম্পার একটি গ্রুমিং স্কুলের মাধ্যমে মিডিয়াতে কাজ শুরু করেন অ্যাডলফ খান। এরপর র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজের পাশাপাশি নায়িকা নিপুণের ছবিতে স্টাইল ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।
এফপি/এসএন