চলচ্চিত্রে নতুন ধারা তৈরি করতে যারা সাহস করেন, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী তাদের একজন। ‘ইনসাইড এজ’ কিংবা ‘গলি বয়’-এর মতো ছবিতে প্রান্তিক বাস্তবতা থেকে উঠে আসা চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করেই যিনি পৌঁছেছেন মূলধারায়। এবার সেই অভিনেতাই ‘ধড়ক ২’-এ অভিনয় করছেন এমন একটি চরিত্রে, যা তার নিজের জীবন ও মনোজগতে এক গভীর পরিবর্তন এনেছে।
সিদ্ধান্তের ভাষায়, এই চরিত্র কেবলমাত্র একটি গল্প নয়- এটি কয়েক প্রজন্ম ধরে চলা কাঠামোগত সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। চরিত্রটির সত্যতা ধারণ করতে গিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন নতুনভাবে- চলাফেরা, ভঙ্গিমা, এমনকি দাঁড়িয়ে থাকার ভঙ্গিও বদলে ফেলেছেন। তার মতে, চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে কেবল বাহ্যিক রূপ নয়, চরিত্রের মনোজগতে প্রবেশ করাটাই সবচেয়ে জরুরি।
এই অভিজ্ঞতাকে ‘হাম্বলিং’ এবং ‘লাইফ-চেঞ্জিং’ বলে অভিহিত করেছেন সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, “এটা কোনও বাক্সে নিজেকে ফিট করানোর ব্যাপার নয়, বরং চরিত্রের জগৎটা বুঝে তাতে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার বিষয়।”
‘ধড়ক ২’-কে তিনি নিজের ক্যারিয়ারের এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন। কারণ এখানে কোনো অতিরঞ্জন নেই, বরং রয়েছে সংযম, স্তব্ধতা এবং আবেগের গভীর ছোঁয়া। চরিত্রের আবেগগত স্তরগুলোকে নিঃশব্দে প্রকাশ করাই ছিল তার কাছে সবচেয়ে বড় কাজ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এই ছবির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে চলেছেন- যেখানে অভিনয় আর বাস্তবতার ব্যবধান আরও ক্ষীণ হয়ে গেছে।
কেএন/টিএ