আফগানিস্তানে জন্ম নেওয়া, যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে পালিয়ে আসা এক মেয়ের নাম নাদিয়া নাদিম। যিনি এখন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী নারী ক্রীড়াবিদদের একজন। মাত্র ১১ বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে পরিবারসহ এক ট্রাকের পেছনে চড়ে আশ্রয় নেন ডেনমার্কে। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন জীবনের পথচলা।
ফুটবল মাঠে দুর্দান্ত নৈপুণ্যের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন নাদিয়া। ইতিমধ্যেই তার ক্যারিয়ারে ২০০টিরও বেশি গোলের রেকর্ড রয়েছে। ডেনিশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৯৯টি ম্যাচ। তার দক্ষতা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ খেলেছেন এসি মিলান, ম্যানচেস্টার সিটি ও প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইয়ের মতো বিখ্যাত ক্লাবে।
তবে কেবল ফুটবলারই নন, নাদিয়া নাদিম একাধারে একজন চিকিৎসকও। ফুটবলের পাশাপাশি তিনি শেষ করেছেন মেডিকেল স্কুল এবং এখন পড়াশোনা করছেন পুনর্গঠনমূলক (রিকনস্ট্রাকটিভ) সার্জারি বিষয়ে। তার লক্ষ্য-ফুটবল জীবন শেষ হলে রোগীদের জীবন গঠনে ভূমিকা রাখা।
সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো, নাদিয়া নাদিম ১১টি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন। এই অসাধারণ প্রতিভা ও অর্জনের জন্যই তাকে স্থান দেওয়া হয়েছে ফোর্বসের ‘আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের’ তালিকায়।
ক্রীড়াঙ্গনের গণ্ডি পেরিয়ে শিক্ষায়, সাহসে ও মানবিকতায় যে নারীরা নতুন দিগন্ত তৈরি করছেন, নাদিয়া নাদিম তাদের অন্যতম উজ্জ্বল মুখ। তার জীবনের গল্প অনুপ্রেরণা হতে পারে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ নারীর জন্য।
টিকে/