‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র জন্য জাতীয় স্তরে সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন। এছাড়াও ছবিটি পেয়েছে সেরা সিনেমাটোগ্রাফির সম্মান। তবু যেন খুশির বদলে মনে জমেছে কষ্ট। কারণ, এই স্বীকৃতিতেও পরিচালক খুঁজে পাচ্ছেন না পূর্ণতা।
পুরস্কার ঘোষণার পর এক সাক্ষাৎকারে সুদীপ্ত বলেন, “আমি আরও কিছু পুরস্কার আশা করেছিলাম। আমার চিত্রনাট্যকার, মেকআপ আর্টিস্ট আর সবচেয়ে বেশি আমার নায়িকা আদা শর্মা যদি পুরস্কার পেত, তবে আমি সত্যিকারের খুশি হতাম। সেটা হয়নি, তাই একটু কষ্ট হচ্ছে।”
তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, শুধু নিজের নয়, তিনি চেয়েছিলেন তাঁর টিমেরও স্বীকৃতি হোক। বলেন, “একটা ছবি যখন দুই বছর পড়ে থাকার পর মুক্তি পায়, আর মুক্তির পর এত চর্চা হয়, তখন নিশ্চিত ভাবে সেই ছবির পিছনে থাকা কলাকুশলীরাও অসাধারণ। তাই তাঁদের প্রাপ্য ছিল জাতীয় স্বীকৃতি।”
এমন আবেগঘন বক্তব্যের পাশাপাশি, জাতীয় পুরস্কারের তালিকায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র নাম ঘোষণার পর কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ খুলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর দাবি, “এই ধরনের ছবিকে পুরস্কার দিয়ে কেরলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িক শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এটা কেবল মালয়ালিদের অপমান নয়, দেশের সম্প্রীতির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।” তিনি এটিকে সরাসরি “সঙ্ঘ পরিবারকে খুশি করার প্রচেষ্টা” বলেও কটাক্ষ করেন।
এই প্রসঙ্গে পরিচালক সুদীপ্ত বলেন, “ছবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাগিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু তাতে আমার শিল্পীসত্ত্বার মূল্য কমে না। বরং এটা আমার লড়াইয়ের স্বীকৃতি। প্রায় ২০–২৫ বছর ধরে আমি ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে চেষ্টা করেছি। বলিউড আমার ঘর নয়, আমি বহিরাগত— এটা আমি জানি। কিন্তু দর্শক আমাকে ভালোবেসেছে, সেটাই আমার কাছে বড়।”
তিনি জানান, বলিউড তাঁকে খুব একটা চেনে না। এমনকি তাঁর মতে, “বলিউডে যে ধরনের ছবি তৈরি হয়, আমি সেই ঘরানার নই। সেই কারণেই হয়তো গ্রহণযোগ্যতাও পাইনি। তবে দর্শকের ভালবাসাই আমার সব।”
“এটা আমার জন্য আশীর্বাদ। দেশের তরফে এমন স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বড় সম্মান।”
এসএন