বলিউডের অন্যতম সাহসী ও প্রাণবন্ত অভিনেত্রী কাজল পা রাখলেন ৫০ বছরে। নিজের মতো করে তারকা জীবনের সংজ্ঞা লিখে যাওয়া এই অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার এখন এক অনন্য মাইলফলকে দাঁড়িয়ে।
১৯৯২ সালে বেখুদি দিয়ে অভিষেক। এরপর দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, মাই নেম ইজ খান একটার পর একটা চরিত্রে নিজেকে অমর করে রেখেছেন কাজল।
তার অভিনয়ে ছিল এক স্বাভাবিক পরশ, পর্দায় এক অদ্ভুত উপস্থিতি, আর ব্যক্তিত্বে ছিল খোলামেলা সোজাসাপ্টা ভাব।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কাজল ছিলেন নিজের মতো। কোন চরিত্র তার সঙ্গে মেলে না, তা তিনি সহজেই ফিরিয়ে দিয়েছেন , যদি সেটি বড় নির্মাতার হাত থেকেও আসে। গ্ল্যামারের চকচকে আবরণের ভেতর আটকে না থেকে নিজের শর্তে এগিয়ে গেছেন তিনি।
৫০ বছরে এসে কাজল যেন আরও পরিপক্ব, আরও আত্মবিশ্বাসী। পর্দার বাইরে তার হাস্যরস, খোলামেলা মন্তব্য আর ভেতরে লুকোনো এক শক্তিশালী চরিত্র বারবার মনে করিয়ে দেয় সত্যিকারের তারকা সেই, যে নিজেকে বদলানোর জন্য ভান করে না।
নতুন প্রজন্মের কাছে কাজল এখন এক অনুপ্রেরণা, যে প্রমাণ করে দিয়েছে, তারকাখ্যাতি মানে কেবল রূপ আর আড়ম্বর নয়; আসল শক্তি লুকিয়ে থাকে স্বকীয়তায়।
এমকে/টিএ