২৫ বছর আগের স্মৃতি যেন ফিরে এল আবারও। যেখান থেকে শুরু, সেখানেই ফিরলেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। গুজরাটের ভুজ, যেখানে একদিন ‘লগন’ সিনেমার শুটিংয়ে দিন কাটিয়েছিলেন, সেখানেই এবার নতুন ছবি ‘সিতারে জামিন পার’-এর বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে গেলেন অভিনেতা।
তবে এবারের যাত্রা নতুন কোনো সিনেমার শুটিং নয়, বরং সিনেমার মানুষদের কাছে পৌঁছানোর প্রয়াস।
ভুজের কুনারিয়া নামক ছোট্ট একটি গ্রামে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যা ছিল গ্রামের ইতিহাসে প্রথম। তাই শুধু আমির খান নয়, উচ্ছ্বসিত ছিলেন গ্রামের সাধারণ মানুষও।
খোলা মাঠে একেবারে মাটিতে বসেই গ্রামের মানুষদের সঙ্গে ‘সিতারে জামিন পার’ উপভোগ করেন আমির। সেই মুহূর্ত যেন তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ‘লগন’-এর দিনগুলোয়। নিজেই বলেন, ‘‘লগনের শুটিংয়ের অনেক কিছু মনে পড়ছে। আমি চাই এই সিনেমাটি দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে যাক।’’
এ প্রদর্শনীর পর আমির গ্রামের নানা প্রান্ত ঘুরে দেখেন, স্থানীয়দের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন, ভাগ করে নেন সিনেমা এবং জীবনের নানা গল্প।
গত ২০ জুন মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে ১৬৭ কোটি রুপি আয় করে ফেলেছে। সিনেমার কাহিনি আবর্তিত হয়েছে গুলশান নামক এক বাস্কেটবল কোচকে ঘিরে, যার কঠোর মেজাজের জন্য তিনি পরিচিত। একদিন পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ার পর আদালতের নির্দেশে তাঁকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বাস্কেটবল শেখাতে হয়। সেই দলকেই তিনি নিয়ে যান জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে।
গুলশানের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন আমির খান। তার বিপরীতে ছিলেন জেনেলিয়া ডিসুজা। সিনেমাটির আরেকটি বড় চমক হলো ১০ জন নতুন মুখকে বড় পর্দায় আনার সাহসী উদ্যোগ।
এই ছবি ‘তারে জামিন পার’-এর ভাবনাজাত সিকুয়েল হলেও, নতুন প্রজন্মের জন্য এটি এক অনুপ্রেরণার গল্প। আর এই গল্পকেই গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে আমিরের এই নিজস্ব উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে নানা মহলে।
এসএন