জাতীয় বিমান চলাচলে জরুরি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ

দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনার পরও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সামরিক বাহিনী, জরুরি সাড়া দানকারী এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে প্রোটোকলগুলো এখনও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এই অবস্থায় এসে জাতীয় বিমান চলাচল জরুরি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। যা হবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমান বাহিনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা, জরুরি পরিষেবা এবং স্থানীয় সরকারের সমন্বয়ে একটি স্থায়ী সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বনানীর শেরাটন হোটেলে এভিয়েশন দুর্ঘটনা এবং নাগরিক ঝুঁকি: বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতির পুনঃমূল্যায়ন শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এই সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশ মনিটর এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, মাইলস্টোন স্কুলের ট্র্যাজেডির সময় দুর্ঘটনাস্থলে জরুরি প্রচেষ্টার নেতৃত্ব বা সমন্বয় করার জন্য কোনো কেন্দ্রীয় কমান্ড ছিল না। গুরুতর পোড়া ছোট শিশুসহ ভুক্তভোগীদের রাস্তায় অসহায়ভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে, তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা বা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়নি। কোনো সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি; কেবল হাতেগোনা কয়েকটি বাণিজ্যিক অ্যাম্বুলেন্সকে সাড়া দিতে দেখা গেছে। রাজধানীর একমাত্র বিশেষায়িত পোড়া চিকিৎসা হাসপাতালটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত, যেখানে দ্রুত চিকিৎসা স্থানান্তরের জন্য কোনো জরুরি প্রোটোকল নেই।

বক্তারা বলেন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলো, যারা বেসামরিক আকাশসীমায় সামরিক বিমান পরিচালনা করে, তারা বেসামরিক-সামরিক যৌথ প্রতিক্রিয়া প্রোটোকল তৈরি করেছে। তারা কেবল বাহিনী এবং বিমানবন্দর কর্মীদের জন্যই নয়, বরং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের কাছাকাছি সম্প্রদায়, স্কুল এবং হাসপাতালের জন্যও নিয়মিত সিমুলেশন ড্রিল পরিচালনা করে। তারা নগর পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের জন্য বিমান চলাচল ঝুঁকি মানচিত্র বজায় রাখে এবং সবচেয়ে খারাপ ঘটনা ঘটলে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনা প্রতিক্রিয়া অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে।

এই অবস্থায় এসে আলোচকরা বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে

একটি জাতীয় বিমান চলাচল জরুরি টাস্কফোর্স গঠন। যা হবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিমান বাহিনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা, জরুরি পরিষেবা এবং স্থানীয় সরকার সমন্বয়ে একটি স্থায়ী সংস্থা।

বেসামরিক-সামরিক জরুরি প্রোটোকল যা বিমান চলাচল সম্পর্কিত দুর্যোগ মোকাবিলায় স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত ভূমিকা, দায়িত্ব এবং যোগাযোগের মাধ্যম কাজ করবে।
বাধ্যতামূলক সিমুলেশন ড্রিল। প্রথম প্রতিক্রিয়াকারী এবং বেসামরিক নাগরিকদের প্রশিক্ষণের জন্য বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকায় বেসামরিক বা সামরিক - ত্রৈমাসিকভাবে পরিচালিত হয়।

বিমান দুর্ঘটনা প্রতিক্রিয়া অঞ্চল প্রতিষ্ঠা। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ বিমান করিডোর বা সামরিক বিমানের পরিচিত যোগাযোগ পথের আশেপাশে।

বিকেন্দ্রীভূত জরুরি চিকিৎসা সুবিধা তৈরি। শহরজুড়ে কৌশলগত স্থানে পোড়া চিকিৎসা ইউনিট অন্তর্ভুক্ত করা।

সম্প্রদায় সচেতনতা এবং শিক্ষা কার্যক্রম।স্কুল, হাসপাতাল এবং বিমান চলাচলের পথের আওতাধীন আবাসিক এলাকায়। সবশেষ নগর পরিকল্পনা নীতিমালার সঙ্গে একীভূতকরণ। রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশন মিলে ডিটেল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) অংশ হিসেবে বিমান নিরাপত্তা অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ (অব.) এয়ার কমোডর ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের এখন চিন্তা করতে হবে শহরের বাহিরে গিয়ে কোথায় আমরা ফ্লাইটের প্রশিক্ষণ দিতে পারি। সবকিছু আমাদের ভেবেচিন্তে পরিকল্পনামাফিকভাবে কাজ করতে হবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুসরণ করে প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার পর ট্রাফিকের কারণে অনেক কিছু করতে বেশ কিছু সময় লেগেছে। তারপরেও সবাই সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকে।

এয়ার কমোডর এ কে এম জিয়াউল হক বলেন, সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে এমওইউয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে, করা যায় খুব শীঘ্রই এটি বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। ফলে দুর্ঘটনা, ইমারজেন্সি অবস্থায় কার কি করনীয়, কি করতে হবে সেসব বিষয়ে ডিটেইল থাকবে। ফলে খুব সহজে সেসব পরিস্থিতিতে করনীয় নির্ধারণ হবে।

তিনি বলেন, উঁচু উঁচু বিল্ডিং কীভাবে রাজউক অনুমোদন দিল? সিভিল এভিয়েশন এসব বিল্ডিংগুলোর বিষয়ে কিছুই করতে পারে না, তাদের রাজউকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব টেকনিক্যাল ক্যাপ্টেন তানভীর খুরশিদ বলেন, আজ থেকে ৩৫ বছর আগে আকাশ হালকা ছিল, বেশি ফ্লাইট ছিল না। এখন আকাশের ব্যস্ততা বেড়েছে। তাই সব প্রসিডিউরগুলোকে আপডেট করাতে হবে। এটা এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, বিমানবন্দরের আশেপাশে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল কলেজ নির্মাণ হলো সেগুলো কেন রাজউক অনুমোদন দিল, সিভিল এভিয়েশন বা কি করলো? সবার চোখের সামনে এগুলো গড়ে উঠলো, কেউ কিছু বলল না। এখন শুধু ভবন নিয়ে সবাই কথা বলছে, এর বাইরে ও তো অনেক বিষয় আছে বিমান উড্ডয়ন অবতরণের, বা চলাচলের যে সাউন্ড এতে করেও তো ওসব গড়ে ওঠা স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীদের সাউন্ড কেন্দ্রিক সমস্যা হচ্ছে। শব্দ দূষণ কেন্দ্রিক যে সমস্যা এটাও তো একটা বড় সমস্যা শিক্ষার্থীদের জন্য। এখন সময় এসেছে সিভিল এভিয়েশনের আইনগুলো রিভাইস করা। নতুন করে এসব আপডেট করাতে হবে।

এয়ার কমোডর (অব.) শফিকুল ইসলাম বলেন, ৩০ বছর আগে এয়ারপোর্ট কেন্দ্রিক যে প্রেক্ষাপট ছিল, এখনকার প্যারামিটার গুলো ঠিক রেখে নির্ধারণ করা হলে হয়ত বা বসতিপূর্ণ এলাকায় এয়ারপোর্ট হত না। এয়ারপোর্টের শব্দে আশেপাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সব দুঃখজনিত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ। এছাড়া এখানে যেসব ভবন হয়েছে, স্থাপনা হয়েছে , এগুলো এখানে কীভাবে হলো, কারা করতে দিলো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) ও নভোএয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মফিজুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক এমন দুর্ঘটনা অন্যরা একসময় ভুলে যাবে। কিন্তু যেই বাবা-মা তাদের সন্তানদের হারিয়েছে তারা কখনোই ভুলতে পারবে না। আগামীতে যেন এমন দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য করনীয় কি তা আমাদের এখনই ভাবতে হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা রিসকিউ করে আমাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

ক্যাপ্টেন (অব.) সালাউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা কোনোদিন তাদের এই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারবে না। বিমানবন্দরের পাশে স্কুল কলেজ কোনোভাবেই উঠা ঠিক হয়নি, যারা অনুমোদন দিয়েছে তারাও ঠিক করেনি।

এয়ার এস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ বলেন, সার্বিকভাবে আমরা যদি গাইডেন্স নিয়ে কাজ করতাম, তাহলে এমন হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা আমাদের দেখতে হতো না। আগামীতে যেন কখনো এমন দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য করনীয় কি সেসব বিষয়ে আমাদের সার্বিকভাবে নিতে হবে।

বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেই, বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেই। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে আমরা তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই না সেভাবে ভাবিও না । এগুলো নিয়ে ভাবার এবং কর্মপদ্ধতি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করার সময় এসেছে। যা আমাদের যুগোপযোগী করে সাজাতে হবে।

জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিমানবন্দর বিষয়টিও আমাদের সমস্যা বাড়ায়। আকাশে ফ্লাইট যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে ১০ বছর পরেই এমন স্থান এ বিমানবন্দর রাখা কঠিন হয়ে যাবে, সরিয়ে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তাই ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে করনীয় নির্ধারণ করা উচিত।

আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের অব. চিফ ফ্লাইং ইন্সেটেক্টর সোহেল রানা বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা দেখে হয়তবা আর কেউ পাইলট হতে চাইবে না, এসব শিশুরা। প্রাণ হারিয়েছে শিশুরাই, বাবা মা সেই কথা কোনোদিন ভুলতে পারবে না। তাই এমন দুর্ঘটনা যেন আর কখনও না ঘটে সেই বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। চ্যালেঞ্জ বাড়বে, করণীয় বাড়বে তবুও সেসব পদক্ষেপ অনুযায়ীই আমাদের আগামীর পথ চলতে হবে।

এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) তানজিম আনোয়ার বলেন, দুর্নীতি করে বিমানবন্দর এলাকায় এসব স্থাপনা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সিভিল এভিয়েশন কি করল, তারা তো ব্রিফ করে বলল না, এখানে যেসব অবৈধ ভবন রয়েছে সেসবের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব। এভাবে অবৈধভাবে অনুমোদন দেওয়া আর কতদিন চলবে। এগুলো বিষয়ে নজরদারি করা এবং ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা থেমে থাকবে না।

দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিরেক্টর জেনারেল হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর আবুল হোসেন মো: মইনুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিরেক্টর ( অপারেশন অ্যান্ড মেন্টেন্স) ডিরেক্টর ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের হেড অব সেফটি ম্যানেজমেন্ট ক্যাপ্টেন শামছুজ্জামান, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের সিইও সাখাওয়াত হোসেন, প্যাসিফিকের কান্ট্রি ম্যানেজার আহমেদ রেজা প্রমুখ।

এফপি/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টয়লেটের ফ্লাশ নষ্ট হওয়ায় উড়ার এক ঘণ্টা পর ফিরে এলো বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট Aug 08, 2025
img
নিজের আসল নাম প্রকাশ করলেন মেহজাবীন Aug 08, 2025
img
জুলাই মাসে রেমিট্যান্সে শীর্ষে ঢাকা বিভাগ, পিছিয়ে রংপুর Aug 08, 2025
img
‘নিশানচি' নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে Aug 08, 2025
img
বিপ্লবী সরকার না হওয়ায় পুরো বিপ্লবটা বেহাত হয়ে পড়েছে : রাশেদ খাঁন Aug 08, 2025
img
কোয়াব নির্বাচন সামনে, নারী ক্রিকেটার না রাখায় রুমানা-জ্যোতির ক্ষোভ Aug 08, 2025
img
সরকারের কাছ থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছি: নুর Aug 08, 2025
img
শাপলাকে ‘ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি’ বলায় ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতিকে ক্ষমা চাইতে বললেন শহীদ রেহানের বোন Aug 08, 2025
img
ট্রাম্পের অতিরিক্ত ২৫% শুল্কের পরই রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের নতুন চুক্তি Aug 08, 2025
img
আইসিইউতে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন Aug 08, 2025
img
স্বামীকে নিয়ে কটূক্তি করায় রেগে গেলেন স্বরা ভাস্কর Aug 08, 2025
img
‘কমল হাসানের পায়ের নখের যোগ্য নন শাহরুখ’ Aug 08, 2025
img
কেনিয়ায় আবাসিক ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ছয় Aug 08, 2025
img
ফের শক্তিশালী অভিনয়ে রাজ বি শেট্টি, জিতে নিলেন দর্শক হৃদয় Aug 08, 2025
img
পারফেক্ট নই, আমার যা আছে তা নিয়েই আপনাদের ভালোবাসি : অনীত পাড্ডা Aug 08, 2025
img
দুদক একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে : মঞ্জুরুল আলম পান্না Aug 08, 2025
img
নতুন সিনেমার গানে শ্রীনিবাস-অনুপমার জমজমাট রসায়ন Aug 08, 2025
img
১২ হাজার টাকার ভাড়া বাসায় থাকেন বুলবুল, আক্ষেপ ইমরুলের Aug 08, 2025
img
মাকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়লেন ঋতুপর্ণা Aug 08, 2025
img
জুলাই শহীদদের কাছে আমরা ঋণী : আদিলুর রহমান Aug 08, 2025