কিছুটা হঠাৎ করেই ২০২৪ সালে বিসিবির সঙ্গে পথচলা থেমে গিয়েছিল টনি হেমিংয়ের। বনিবনা না হওয়া কিংবা পেশাগত মতপার্থক্য—যাই থাকুক না কেন, অবশেষে আবারও বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফিরছেন এই অভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটর।
বিসিবির একজন পরিচালক দেশের একটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে, টনি হেমিংয়ের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তিনি বাংলাদেশে আসছেন। শুধু প্রধান কিউরেটর হিসেবেই নয়, নতুন এক দায়িত্ব—‘হেড অব টার্ফ’ হিসেবেও কাজ করবেন তিনি। দেশের বিভিন্ন ভেন্যুর কিউরেটরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও আন্তর্জাতিক মানের পিচ ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব দেবেন হেমিং।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রথমবার বিসিবির প্রধান কিউরেটর হিসেবে যোগ দেন হেমিং। দুই বছরের চুক্তি থাকলেও এক বছরের মধ্যেই ২০২৪ সালের ১০ জুলাই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। পরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) প্রধান কিউরেটর হিসেবে যোগ দেন তিনি।
তবে গেল ৬ মাস ধরে হেমিংকে ফেরানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল বিসিবি। অবশেষে সেই আলোচনা সফল হয়েছে।
টনি হেমিং শুধু বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান নয়, বিশ্বজুড়েই পিচ ও মাঠ ব্যবস্থাপনায় এক অভিজ্ঞ নাম। এর আগে তিনি কাজ করেছেন আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি এবং দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবে। ছিলেন ওমান ক্রিকেট একাডেমির পিচ কনসালট্যান্ট হিসেবেও।
তাছাড়া, পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে এরিনা ম্যানেজার, সৌদি আরবের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাঠ ব্যবস্থাপক এবং আইসিসির আন্তর্জাতিক উপস্থাপক ও শিক্ষাবিদ হিসেবেও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
অনেকে প্রশ্ন তুলতেই পারেন—যিনি একবার দায়িত্ব ছেড়ে গিয়েছিলেন, তিনি আবার ফিরছেন কেন? বিসিবির ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, হেমিংয়ের পেশাদারিত্ব ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়নেই আবারও তাকে ফেরানো হয়েছে। বিশেষ করে আসন্ন ঘরোয়া মৌসুম ও ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো সামনে রেখে পিচের মান উন্নয়ন এখন বড় অগ্রাধিকার বিসিবির কাছে।
সেই লক্ষ্যে টনি হেমিংয়ের প্রত্যাবর্তন নতুন আশার বার্তা হয়ে আসছে দেশের ক্রিকেটের জন্য।
এফপি/টিএ