টেলিপর্দায় ‘সংস্কারী বউমা’ হওয়ার পাশাপাশি বাস্তবেও ধর্ম-কর্মে বিশ্বাসী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়। উৎসব-অনুষ্ঠানে সিঁদুরে সিঁথি রাঙান প্রবাসী বঙ্গকন্যা। পরেন শাঁখা-পলাও। গত জানুয়ারি মাসেই মহাকুম্ভে আস্থার ডুব দিয়ে দেশ-দশের মঙ্গলকামনা করেছিলেন। সম্প্রতি পবিত্র শ্রাবণের সোমবার উপলক্ষে উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতেও দেখা যায় রুপালিকে। আর সেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেই কিনা এবার গোমাংস ভক্ষণের অভিযোগ উঠল! ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন ‘অনুপমা’ও। একেবারে কড়ায়গণ্ডায় মোক্ষম জবাব কষলেন নিন্দুকদের উদ্দেশে।
টেলিপর্দায় ‘অনুপমা’ সিরিয়ালের সুবাদে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছলেও নরেন্দ্র মোদির ‘ভোকাল ফর লোকাল’ ক্যাম্পেইনের মুখ হিসেবেই চর্চার শিরোনামে উঠে এসেছিলেন রুপালি গঙ্গোপাধ্যায়। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার স্বপ্নে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্র ছড়িয়ে দিয়েছিলেন হিন্দি সিরিয়ালের ‘অনুপমা’। এমনকী একাধিকবার গেরুয়া শিবিরের হয়ে আওয়াজও তুলেছেন তিনি। সেই থেকেই রুপালির নামের পাশে ‘হিন্দুত্ববাদী’ তকমা সাঁটার অভ্যেস নেটপাড়ার! এবার সেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গোমাংস খাওয়ার অভিযোগ তুললেন জনৈক নেটিজেন। কিন্তু আচমকাই কেন নিশানায় রুপালি?
আসলে দিল্লির পথকুকুরদের হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন অভিনেত্রী। সুপ্রিম রায়ের প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, “আমাদের সংস্কৃতিতে ভৈরববাবার মন্দিরের রক্ষক কুকুর। প্রতি অমাবস্যায় ওদের খেতে দেওয়া হয় আশীর্বাদপ্রাপ্তির জন্য। ওরা রাস্তাতেই বেড়ে উঠেছে। দোকান পাহাড়া দেয় তো কখনও আবার কারও দ্বাররক্ষী ওরা। চোর আসলে জানান দেয়, তাই ওদের রাস্তা থেকে সরানো মানে নিজেদের নিরাপত্তাকে ঝুকির মুখে ঠেলে দেওয়া।” এমন মন্তব্যের পরই রুপালির উদ্দেশে ধেয়ে আসে কটাক্ষবাণ। অভিনেত্রীকে আক্রমণ করে জনৈক লেখেন, “আপনি নিজে মাছ, পাঁঠা-মুরগি, গোমাংস খেয়ে পথকুকুরদের হয়ে কথা বলতে আসবেন না। পশুপ্রেম মানে সেটা সব পশুদের প্রতি প্রেমকেই বোঝায়। নিজের বাড়িতে শৌখিন কুকুর রেখে রাস্তার কুকুরদের জন্য প্রতিবাদ করছেন।…” আক্রমণের মুখে চুপ থাকেননি অভিনেত্রী। পালটা জবাবও ছুড়ে দিয়েছেন। রুপালির মন্তব্য, “নিত্যদিন আমি পথকুকুরদের খাওয়াই। ওদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাও করি। আমি গোশালা কিংবা পশু আশ্রয়কেন্দ্রকে সমর্থন করি। শুধু আমার শহর বলে নয়, গোটা দেশের কথা বলছি। আর হ্যাঁ আমি গর্বিত নিরামিশাষী। তাঁর সংযোজন, আমার বাড়িতে চারটে দেশি কুকুরও রয়েছে।”
এফপি/এসএন