অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, প্রশাসনের কেউ যদি এখানে জড়িত থাকেন, বা কারও বিরুদ্ধে যদি সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারা বিচারের মুখোমুখি হবেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
ক্যাসিনো চলার বিষয়টি পুলিশের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানতেন বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। না জানাটা ব্যর্থতা কি না, আর জেনে যারা নিশ্চুপ ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না?
এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দারাই আমাদের তথ্য দিয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অপারেশন শুরু হয়েছে।’
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনোসহ নানা ধরনের জুয়া চলে আসছিল। দেশের প্রচলিত আইনে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড হলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যুক্ত থাকায় সেগুলো বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগর যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের চার দিনের মাথায় বুধবার অভিযান চালায় র্যাব।
বুধবার রাজধানীর গুলিস্তান, ফকিরাপুল ও বনানীর চারটি ক্যাসিনোতে (জুয়ার আসর) অভিযান চালিয়ে সেগুলো সিলগালা করে দেয় র্যাব। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কিছু নেতা দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ ক্যাসিনো চালিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনো চালাতেন আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বুধবার গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টাইমস/এসআই