অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি এবং পূর্ব জেরুজালেমের মধ্যবর্তী স্থানে ইসরাইলের হাজারো নতুন ঘর তোলার পরিকল্পনাকে যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরাইলের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নিকটবর্তী ফিলিস্তিনিরা জোরপূর্বক উচ্ছেদের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, যা হবে যুদ্ধাপরাধের শামিল।
গত বৃহস্পতিবার কট্টর ডানপন্থি ইসরাইল অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বসতি স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। এই প্রকল্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাকে কবরে পাঠিয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পরিকল্পিত নির্মাণস্থলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্মোট্রিচ ৩ হাজার ৪০১টি নতুন আবাসন ইউনিটের অনুমোদনের বিষয়টি ঘোষণা করেন।
স্মোট্রিচ নিশ্চিত করেছেন, সরকার জেরুজালেমের পূর্বে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা একটি প্রকল্প পরিকল্পনা করছে। এটি আগামী সপ্তাহে অনুমোদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ইসরাইলি পরিকল্পনা পশ্চিম তীরকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিণত করে ফেলবে। অধিকৃত এলাকায় দখলদার কোনো শক্তির নিজ জনগণকে স্থানান্তর করাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
পশ্চিম তীরের ‘ই-ওয়ান’ এলাকায় ইহুদীদের জন্য তিন হাজারের বেশি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদনের ইচ্ছা প্রকাশের পর ইসরাইল আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেন, ইসরাইলের এই পদক্ষেপ দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা শেষ করে দেবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতি প্রধান কজা কাল্লাস পরিকল্পনাটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানান।
বর্তমানে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে প্রায় সাত লাখ ইসরাইলি সেটেলার বাস করেন। ১৯৮০ সালে পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরাইল যুক্ত করলেও অধিকাংশ দেশ এ পদক্ষেপকে স্বীকৃতি দেয়নি, আর পশ্চিম তীরে আনুষ্ঠানিক সার্বভৌমত্বও ঘোষণা করা হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
এমআর/টিকে